মূল লেখার লিংক
বই কি শুধুমাত্র পড়ার জন্য? কিংবা বই কি শুধুমাত্র নির্মল আনন্দ লাভের জন্য? এমনও তো হতে পারে বই অলস সময়ের সময় ক্ষেপণের হাতিয়ার। এরকম অনেকভাবেই বইকে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। বইকে আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। কিন্তু বই যেন আপনাকে যত্রতত্র ব্যবহার না করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকা অতীব গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বুক রিভিউ’
বই পড়া ও আমার মেজ আপা
মূল লেখার লিংক
ফেব্রুয়ারি, ভাষা দিবস, বইমেলা এসব এলেই ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে। আমার মেজো আপার কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। মেজো আপা আমার চেয়ে বয়সে বেশ বড়। আমাদের আট ভাইবোনের মধ্যে মেজো আপা তৃতীয় আর আমি পঞ্চম। কেন জানি না মেজ আপা হয়তো আমাকে অন্যান্য ভাইবোনদের চেয়ে বেশি আদর করতেন। আমি বেশ নাদুসনুদুস টাইপ ছিলাম। আপা ছিলেন অনেক শুকনা টাইপের। ওই শরীর নিয়েই আপা আমাকে কোলে নিয়ে সারা পাড়া ঘুরে বেড়াতেন।
একেকটা বই একেকটা জানালা
মূল লেখার লিংক
বই আমাদের কী উপকার করে, এ প্রশ্নের উত্তর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের চেয়ে ভালো আর কে দিতে পারেন! তিনি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর, অসাধারণ একজন বক্তা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একাদশ শ্রেণির বইপড়া কর্মসূচির উদ্বোধনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি বলেছিলেন বই পড়ার উপকারিতার কথা।
বলো তো এটা কী? (হাত উঁচু করে দেখিয়ে)। (একজন ছাত্র: হাত।)
বই পড়া – জাভা
মূল লেখার লিংক
গত সামারে হঠাৎ কী মনে করে জাভা প্রোগ্রামিং এর উপর একটা বই কিনে পড়া শুরু করলাম। গল্পের মতো পড়া। বহু বছর আগে নটর ডেম কলেজের বড় ভাই বলেছিলেন যদি জাভা আর সি প্লাস প্লাস শেখ তাহলে ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে। আজ প্রায় বিশ বছর পর সেই কথাটা মনে পড়ছে। সত্যিই যদি এত দীর্ঘ সময় কোন ল্যঙ্গুয়েজ নিয়ে কাটানো যায়, সেই ভাষায় দক্ষতা আসবে এমনটা হয়তো বলা যায়।
বিল গেটস ও বইয়ের পোকারা
মূল লেখার লিংক
২০১৩ সালে পড়া সেরা বইগুলো হাতে বিল গেটস
১৯৭৩ সালে বিল গেটস লেকসাইড স্কুল থেকে তাঁর হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, তিনি স্যাট (স্কলটিক অপটিচিউট টেস্ট) পরীক্ষায় সম্ভাব্য ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ নম্বর পান! কাজেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে তাঁর কোনো সমস্যা হয়নি। সেখানে তাঁর স্কুলের সহপাঠী পল এলেনও তাঁর সঙ্গী।
না পড়া হতেই পারে: যে উপভোগ্য বইগুলো না পড়লেই মিস
মূল লেখার লিংক
বাংলা বই, অতিপরিচিত কিছু বই। খুব ভারিক্কি নয়, বরং একটু টানটান।
এর যে কোন একটা অপঠিত থাকলে, দারুণ কোন স্বাদ থেকে বঞ্চিত রয়ে যাওয়া হবে।
চটজলদি লিখে ফেললাম, লিস্টে আসতে পারে এমন আরো কিছু সহব্লগাররা সাজেস্ট করতে পারেন। স্মৃতি হাতড়ে, কথা মিলিয়ে দ্বিতীয় পোস্ট করব।
১. আত্মউন্নয়ন
যে কোন পরিস্থিতিতে এ বই থাকবে এ লিস্টের এক নম্বুরি!
সেল্ফ ডেভলপমেন্ট নিয়ে হররোজ ডজনখানেক বই তো বেরোয়, কিন্তু এটা যে চিরায়তর চিরায়ত। বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্মনামে বাংলা ভাষার এক প্রধান শক্তিমান লেখক কাজীদা কিন্তু শুধু বইটা এডিট করে ছেড়ে দেননি তাঁর মাসুদ রানা’র মত- বরং লিখেছেন নিজের হাতে, তাও আবার মনের সবটুকু রঙ মিশিয়ে।
কাজীদার লেখা যে কতটা ক্ষুরধার- এ বইতে সে পরিচয়টা আরেকবার পাওয়া যাবে।
যে ব্লগটি বাবা পড়বেন না
স্যুটকেস গোছাতে গিয়ে দেখি লুঙ্গিটা ধরছে না। একটু ঠেসে ঢুকাতে গিয়ে মনে হলো, বাড়ী থেকে আসার সময় আব্বা ঠেসে ঠেসে আমাদের ব্যাগে জিনিস-পত্র ঢোকাতেন। বেডশীট থেকে শুরু করে গাছের ফল, ডালের বড়ি, কাচা সবজি – সব কিছু দিতে চাইতেন। একবার তো গাছের সুপারিও দিয়ে দিয়েছিলেন। মা দেখে হেসেই অস্থির, ‘তোমার ছেলে কি পান খায়, সে সুপারী দিচ্ছো!’ মনে হতো, পারলে তিনি পুরো বাড়ীটাই তুলে আমার সাথে দিয়ে দিবেন।
কয়েক বছর পর বউ বাচ্চা সবাই মিলে বাড়ীতে যাচ্ছি। আমার বিষয়ে আব্বার প্রধান অনুযোগ ছিল, বাড়ীতে অনেক দিন পর পর যাওয়া নিয়ে। আব্বা চাইতেন, তার বউমা, নাতি-পুতি সবাই মিলে বাড়ীতে যাই। দেশেই থাকি, অথচ, সবাই মিলে যাওয়া হতো না। আজ যাবো কাল যাবো করে আমারও যেতে দেরী হয়ে যেতো। শীতে যেতাম না ঠান্ডা লাগবে বলে, গরমে ঝিনাইদায় খুব গরম পড়ে, ফাল্গুন-চৈত্রে রাস্তাঘাটে খুব ধুলা থাকে, বর্ষাকালে আমার গায়ে বৃষ্টির ফোটা পড়লে সর্দি লেগে যায়, ঈদে রাস্তার যে হুজ্জত, অফিসে খুব কাজ – এই সব অযুহাতে আমার যাবার তারিখ কেবলই পিছাতো।