মূল লেখার লিংক
অমেরিকার শিকাগো শহর। ১৯০১ সালের ৫ ই ডিসেম্বর। শিকাগো শহরে সেদিন ভীষন ঠান্ডা। এই ঠান্ডার মধ্যে অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহন করল এক শিশু, বাবা মায়ের পঞ্চম সন্তান, বাবার নাম ইলিয়াস। পেশায় ছুতার মিস্ত্রী পঞ্চম সন্তানের আবির্ভাবের পর অভাবের জ্বালায় শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে চলে যান। শিশুটির নাম রাখা হয় ওয়াল্ট। গ্রাম্য পরিবেশে ওয়াল্টের খেলার সঙ্গী ছিল ইদূর, বিড়াল, কুকুর, হাস মুরগী, এদিকে গ্রামে এসে এক খামারের কাজ করতে করতে ইলিয়াস অসুস্থ্য হয়ে পরেন। গ্রাম ছেড়ে কানসাস শহরের কাছে এসে বাসা বাধলেন ইলিয়াস।
ওয়াল্ট ইলিয়াস ডিজনি – শিশুদের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
মধ্যযূগীয় দশটি ভয়ংকর অস্ত্র
মূল লেখার লিংক
ক্যালভেরিন
একটি মধ্যযুগীয় বন্ধুক। সাধারনত মধ্যযুগীয় অশ্বারোহীরা ব্যবহার করত। একটি নলের মধ্যে বারুদ এবং সীসা ঢুকিয়ে তারপর একটি সুতায় আগুন ধরিয়ে গুলি করা হত। ক্যালভেরিন কামান হিসাবে ও ব্যাবহৃত হত। আসলে আধুনিুক কামানের পূর্বপুরুষ।
আফ্রিকার ক্রীতদাস ব্যবসা ও এর ইতিহাসের সাক্ষী এলমিনা ক্যাসল
মূল লেখার লিংক
আফ্রিকার দেশ ঘানার দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল কেপকোস্টের ‘ এলমিনা’ নামক স্থানে অবস্থিত ক্যাসলটির নাম ‘ সেন্ট জর্জ এলমিনা’ ; তবে ইতিহাসবিদ এবং পর্যটকদের নিকট এটি ‘ এলমিনা ক্যাসল’ হিসাবেই অধিক পরিচিত।
কিছু অদ্ভুত প্রাণী (ছবিব্লগ)
মূল লেখার লিংক
এঙ্গোরা খরগোশ (Angora rabbit)। দীর্ঘ ও নরম লোমবিশিষ্ট গৃহপালিত এ প্রাণীটির উৎপত্তি তুরস্কের আঙ্কারায়।
জ্যাক লন্ডনের শ্রেষ্ঠ জীবনীগ্রন্থ — অশ্বারোহী নাবিক
মূল লেখার লিংক
স্কুল ছুটি হয়ে যায় দুপুরের আগেই, মায়ের অফিস শেষ হতে তখনো কঘণ্টা বাকী, প্রায়শই এই সময়টাতে তার অফিসে, বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম গ্রন্থাগার, রাজশাহী বিশ্ব- বিদ্যালয় গ্রন্থাগারে কাটানো হত নানা বিদেশী ছবির বই দেখে, বিশেষ করে জীবজন্তুর বৈচিত্রময় রঙিন ছবিগুলো যে কি উদ্বেলিত করে তুলত অদ্ভুত সব কল্পনায়।
মাঝে মাঝে ছোটদের বাংলা বইয়ের তাক থেকে চুপিসারে দুয়েকটা বই নামিয়ে পড়ার চেষ্টা চালাতাম গভীর আগ্রহে। অদ্ভুত নামের একটি বই চোখে পড়াই কৌতূহলী হয়ে টেনে নামিয়েছিলাম, খুব একটা মোটা নয়, সাদা উন্নত কাগজে ছাপা, প্রকাশনা আজ আর মনে নেই, ব্যতিক্রমী নামটি ছিল – হোয়াইট ফ্যাং!
ফ্যাং মানে জানতাম না, কিন্তু সেই না জানাই আকৃষ্ট করে ছিল প্রবল ভাবে। পাতা উল্টাতেই মনে হল অন্য ধরনের বই- বন, বরফ, সবুজ, শিকার আর নেকড়েদের নিয়ে। প্রথমেই বর্ণনা ছিল সদ্য চোখ ফোঁটা নেকড়ে শাবক কি করে গুহার মুখ দিয়ে বাহিরের আলোকময় বিশ্বের আভাসে অবাক বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে যায়।
ছবিব্লগঃ আল্পস থেকে ভিসুভিয়াস
প্রিয় বই- কনরাড লোরেঞ্জের কিং সলোমনস রিং
হাঁসের বাচ্চা ডিম থেকে বেরোবার পর ১৩-১৬ ঘণ্টার সময়টুকু অতীব গুরুত্বপূর্ণ, এই সময়টুকুতে তারা প্রথম যে চলমান বস্তুটি দেখে তাই তাদের বাবা-মা, মানে অভিভাবক হয়ে দাঁড়ায়! মনে করা হয় তাদের মস্তিষ্ক বিশেষ ধরনের ছাপ রাখে সেই সময়ের ঘটনাবলী এবং সেই চলমান বস্তুর, ফলশ্রুতিতে সেটিই হয়ে দাঁড়ায় তাদের অভিভাবক। স্পষ্ট মনে আছে শিশুকালে গ্রামে দেখতাম এক দল তুলতুলে কুসুম হলুদ হাঁসের ছানা পুকুরে সাঁতার দিচ্ছে আর তাদের মুরগী মা পাড়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে সতর্কতা জারি করেই যাচ্ছে! এমন অবাক বিষয় দেখে কারণ জিজ্ঞাসা করলেই বড়রা দায়সারা উত্তর দিত- মুরগীর বসিয়ে হাঁসের ডিম তা দিয়ে ফোটানো হয়েছে, তাই হাঁসের বাচ্চাগুলোর মা সেই মুরগী!
প্রিন্সলী স্ট্রেটঃ ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় স্বশাসিত রাজ্য
মূল লেখার লিংক
ব্রিটিশদের ভারত শাসনের সময় ভারত উপমাদেশে অনেকগুলো স্বশাসিত রাজ্য ছিল। এসকল রাজ্যসমুহকে বলা হত প্রিন্সলী স্ট্রেট বা দেশীয় রাজ্য। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরাজ ভারত ত্যাগের সময় দেশীয় রাজ্যের সংখ্যা ছিল ৫৬৫ টি। আর আয়তনে ভারতবর্ষের ৪০ ভাগ জুড়ে ছিল এই দেশীয় রাজ্যসমুহ।
দেশীয় রাজ্যগুলো ছিল অনেকটা শায়িত্বশাসিত রাজ্যের মতো যা স্থানীয় রাজা, মহারাজা, নবাব, নিজম, খান পদবী ধারী স্থানীয় শাসকদের দ্বারা শাসিত হতো। রাজ্যগুলো ব্রিটিশ ভারতের অন্তভূক্ত ছিল না। কিন্তু ব্রিটিশদের সাথে এক চুক্তির মাধ্যমে Subsidiary Alliances বা সম্পূরোক জোটের অন্তভুক্ত ছিল। ভারতে ব্রিটিশদের রাজ্য সম্প্রসারনের মুখে অনেক রাজা মহারাজারা বাধ্য হয়ে উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তির ফলে রাজা-নবাবেরা রাজ্যের সার্বভৌমের বিনিময়ে তাদের শাসন ক্ষমতা ধরে রাখেন। তাছাড়া অন্য রাজ্যের আক্রমন থেকে রক্ষা পাবার জন্যও তারা অপমানজনক চুক্তিগুলো মেনে নেন।
নারীতে শাড়ি অথবা শাড়িতে নারী
মূল লেখার লিংক
শাড়ি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যনৈমিত্তিক পরিধেয় বস্ত্র।শাড়ি অনেক লম্বা ও সেলাইবিহীন কাপড় দিয়ে তৈরি হয়। সাধারণতঃ একটি শাড়ি চার থেকে নয় মিটার (প্রায় ১২ হাত বা ১৮ ফুট) দীর্ঘ কাপড় দিয়ে তৈরি হয়। বিভিন্নভাবে ভাজ করে শাড়ি পরা হয়ে থাকে। সবচেয়ে সাধারণ ভাজ হচ্ছে কোমরে জড়িয়ে একপ্রান্ত কাঁধের উপর দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া, যাকে আঁচল বলা হয়।শাড়ি সাধারণত পেটিকোটের (উত্তর ভারতে লেহেঙ্গা/ঘাগড়া এবং বাংলাদেশসহ পূর্ব ভারতে সায়া নামেও পরিচিত) উপরে পরা হয়ে থাকে। উপরের অংশের পোষাক হিসেবে ব্লাউজ (ভারতে চোলি নামেও পরিচিত) ব্যবহার করা হয়। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাধারণতঃভ শাড়ি অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উপযোগী পোষাক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেনাবাহিনীতে নারী সেনারা শাড়ী পড়লে কোমরে শার্ট বেধে রাখেন।
২০১২ সালের এ্যানিমেশন মুভিসমূহ। (ডাউনলোড লিংক সহ)
বিজ্ঞাপনের গুষ্টি উদ্ধার… (পর্ব ৭) – কমিউনিকেশনের ম্যাজিক
বিজ্ঞাপনের খুব গুরুত্বপুর্ন একটা ব্যাপার হচ্ছে পারসুয়েশন। অন্য কেউ কিভাবে আপনাকে/ আপনার পন্যকে/ আপনার এড কে দেখছে, সেইটা। কাস্টোমার আপনার বিজ্ঞাপন যতটা এডপ্ট করতে পারবে, আপনার বিজ্ঞাপন ততটাই ইফেক্টিভ।
এডভার্টাইজিং শিখতে হলে আপনার অবশ্যই অন্যকে পারসুয়েশন করানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনার কাস্টোমার কে দিয়ে আপনার ইয়েস বলিয়ে নিতে হবে। এড কিরকম বানাবেন তার আগে আপনাকে আপনার কাস্টোমারের মনস্তত্ব টা একটু বুঝতে হবে।
প্রাচীন মানচিত্র তৈরীর অজানা ইতিকথা
মূল লেখার লিংক
মানচিত্র যার ইংরেজী নাম Map. এসেছে লাতিন Mappa থেকে। Mappa মানে রুমাল বা ওই ধরনের ছোট কাপড়। সম্ভবত এক সময় কাপড়ের ঊপর ছোট ছোট কিছু নকশা একে রাখা হত এই জন্য এরকম নাম করন।
মানচিত্র রচনার পরিভাষিক নাম Cartography. এই Cartography ঘেটে দেখা যায়্ মানচিত্রের উপর মানূষের নির্ভরশিলতা প্রাচীন কাল থেকে।
অ্যালান কোয়াটারমেইন, প্রিয় বন্ধু আমার
মূল লেখার লিংক
যথাসময়ে লামু ছাড়লাম আমরা
এই ছিল প্রথম লাইন, মাথার কোষে কোষে গেঁথে গেল একেবারে, এখনো অন্ধকারে সামান্য আলোকপাতে স্তূপকৃত মণিমাণিক্য যেভাবে জ্বলজ্বল করে ওঠে, তেমনি এই শব্দমালা মুহূর্তের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আলো ঝলমলে শৈশবে। পাশের বাড়ী থেকে ধার করে আনা আধা ছেঁড়া ইয়া মোটা এক নিউজপ্রিন্টের বই, এমনই বাজে ভাবে ছিঁড়েছে যে প্রথম অধ্যায়ই নেই!
২য় অধ্যায়ের শুরুতেই সেই বিটকেলে প্রাণঘাতী শব্দগুলো-
যথাসময়ে লামু ছাড়লাম আমরা! লামু কোথায়? আর কোথায়, আফ্রিকার কোন এক অজানা কোণে! মাউন্ট লেকাকিসেরার ওপারের অজানা অঞ্চলে। এলাকার নামগুলো পড়তে পড়তেই রোমাঞ্চের স্রোত বয়ে যায় রক্তের ভিতর, বুকের ভেতরের ঘুমিয়ে থাকা যাযাবরটা দুদ্দাড় শুরু করে অদ্ভুত নাম বইটার, অ্যালান কোয়াটারমেইন। মূল লেখক স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, সেবা প্রকাশনী থেকে খসরু চৌধুরীর অনুবাদে বের হওয়া। আসলে নাম দেখেই আগ্রহটা তৈরি হয়ে ছিল। তারপর থেকেই অ্যালান আমার সবসময়ের সঙ্গী। এমনকি বছর দুই আগে তার বাড়ী যে শহরে, দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ডারবান শহরে পর্যন্ত গেছি, যদিও একসাথে অভিযান চালানো হয় নি সেযাত্রা।
টলিউড ২০১২
মূল লেখার লিংক
২০১২ শেষের দিকে। এ বছর টলিউড এ দারুণ দারুণ কিছু ফিল্ম এসেছে।
সবচেয়ে বড় কথা এখন তামিল তেলুগু এর রিমেক এর চেয়ে সবাই আর্ট বা ভিন্ন ধারার বাংলা সিনেমা গুলোকে বেশি পছন্দ করছে। বিশেষ করে অটোগ্রাফ, অন্তহীন, নটবর নট আউট এর জনপ্রিয়তা এর কারণে এখন প্রতিবছর বাণিজ্যিক সিনেমার চেয়ে আর্ট বা ভিন্ন ধারার বাংলা সিনেমা গুলো বেশি পছন্দ করছে সবাই। এগুলো সমালোচক প্রিয় এর সাথে সাথে বাণিজ্যিক ভাবেও দারুণ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
আসুন দেখে নেই এই বছরের বাণিজ্যিক ভাবে সফল এবং সমালোচক প্রিয় কিছু সিনেমার নাম
বছরের শুরুতে ৬ জানুয়ারি মুক্তি পায় মৈনাক ভৌমিক এর বেডরুম ছবিটি। আবীর, পাওলি দাম, ঊস্বাশী, রুদ্রনীল, পার্ণ মিত্র, রাহুল, তানুশ্রী অভিনীত এই ছবিটি দারুণ জনপ্রিয়তা পায় কমার্শিয়ালি এবং ক্রিটিক্যালি। এই ছবির আর একটা দিন এবং মায়াবন বিহারিণী হরিণী এই বছরের সব চেয়ে জনপ্রিয় গান গুলোর ২ টা।
লুঙ্গি
লুঙ্গি দেহের নিচের অংশে পরার একধরনের পোষাক, ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং মায়ানমারে এর প্রচলন দেখা যায়। যদিও এটির সূচনা দক্ষিণ ভারতে কিন্তু এটি দক্ষিণ এশিয়ার অনেক সম্প্রদায়ই ব্যবহার করে থাকে। যদিও এক রঙের লুঙ্গিই বেশী জনপ্রিয় কিন্তু সাধারণত এটি বিভিন্ন নকশা এবং রঙে সুতায় বুনা হয়। নকশা ও রঙ ছাড়াও লুঙ্গির উপরে এবং নিচে সাদা বা কালো রঙের ডোরা কাটা দাগ থাকে।