ফিনিসেরা জাতি হিসেবে বেশ শান্ত, চুপচাপ, লাজুক। এতটাই বেশী যে তামপেরে তে আসার পরে আমি মাঝে মাঝে তাদের নীরবতায় হাঁপিয়ে উঠতাম। হয়ত বাসে করে কোথাও যাচ্ছি, বাসের ভীতর সবাই নট নড়ন নট চড়ন হয়ে বসে আছে। দুই একজনের ফিসফাস কথা ছাড়া বাসের ভিতরে থম ধরা নীরবতা। কারো মুখে হাসি নাই।
রাঙ্গামাটির পথে লো…
মূল লেখার লিংক
গত আগস্টে আমরা চারজন ফেনী-নিঝুম দ্বীপ-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-বান্দরবন-কক্সবাজার জয় করতে বের হলাম। আমাদের পরিকল্পনার ভুলে নিঝুম দ্বীপ অদেখাই থেকে গেল। তো যাই হোক ফেনীতে বন্ধুর বাড়িতে এক রাত থেকে চট্রগ্রাম গেলাম। চট্রগ্রাম ঘুরে পাহাড়ীকা-ই চড়ে রাঙ্গামাটি। গাড়ি থেকে লেক-পাহাড় পরিবেষ্টিত রাঙ্গামাটি দেখে এক কথায় বলা চলে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। তখন ছিল রমজান মাস। পুরো রাঙ্গামাটিতে পর্যটক বলতে আমারা চারজন। রাতে থাকার জন্য পর্যটনে হানা দিলাম। আমাদের পরম দূর্ভাগ্য যে বউ ছাড়া হানিমুন কটেজে রাত্রিযাপন করতে হলো।
দুপুরে খেয়েদেয়ে রাজবন বিহার ও রাজবাড়ি ঘুরতে গেলাম।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণঃ ছবি ব্লগ-১
মূল লেখার লিংক
সেন্ট মার্টিন। নীলাভ স্বপ্নের দ্বীপ। গত সপ্তাহে তিন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম সেন্ট মার্টিন। বাংলাদেশে এত সুন্দর একটা দ্বীপ আছে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। চারিদিকে শুধু নীল আর নীল। ওপরে নীল আকাশ, নিচে নীল জল। যেন একটা নীল স্বপ্নপুরী। এই নীল মোহনীয় রূপ ক্যামেরার ফ্রেমে ধরার অপচেষ্টা করেছি মাত্র।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন গামী জাহাজে উঠার পথ।
ছবিব্লগঃ আল্পস থেকে ভিসুভিয়াস
ছবিব্লগঃ প্রিয় রাজশাহী
রাজশাহীর পদ্মা
প্রিয় রাজশাহী,
আশা করি ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। মানে যতটুকু ভালো না থাকলেই নয় ঠিক ততটুকু। বিজয় দিবস এলো গেলো। গত চার বছর হল বিদেশে আছি। তোমাকে এবারও বিজয় দিবসে খুব মিস করলাম। তুমি ফুলে ফুলে ভরে গেছ, এইটা দেখাটাই কোন একসময় আমাদের একটা প্রধান কাজ ছিল, তুমি তো জানোই। বিদেশে আসার আগ অব্ধি প্রত্যেক বছর এদিনে তোমার শহীদ মিনারগুলিতে জনসমাগম একটু একটু করে বাড়তে দেখেছি। এবারও নিশ্চয়ই বেড়েছে এমন। যেভাবে ফেসবুক জুড়ে তোমার ছবি দেখলাম, তাতে গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে।
লাস্ট ডেজ অফ পম্পেই
সারি সারি পাথর বসানো রাস্তা চলে গেছে নগরীর বুক চিরে, বেশ বড় বড় পাথর, মসৃণ তার পৃষ্ঠদেশ, কয়েক জায়গায় অগভীর খাজ মত, বোঝা যাচ্ছে কোন বিশেষ বাহনের অবিরাম চলাচলের ফলে কঠিন পাথরের বুক ক্ষয়ে এই চিহ্ন তৈরি হয়েছে চাকার ঘর্ষণে। কারা টানত সেই গাড়ী? হয়ত ঘোড়া, গাধা, গরু, খচ্চর বা মানুষ, মাত্র দুই হাজার বছর আগে! জি, ঠিকই পড়েছেন ২০০০ বছর আগেই এক সমৃদ্ধ রোমান জনপদ ছিল এলাকাটি, ছিল এক রমরমা বাণিজ্যকেন্দ্র! অদূরেই ভূমধ্যসাগর, বণিকেরা ভিড় করে আসত নানা দেশ থেকে, চলত পণ্যের বিকিকিনি, সবার বিনোদনের জন্য শহরে গড়ে তোলা হল রোমান স্টেডিয়াম বা অ্যারেনা, বিশাল সব কাজকারবার।
আমি ঢাকা শহরে আছি নাকি ক্যামেরা শহরে আছি !
মূল লেখার লিংক
৬-১২-১২ তারিখে কিঞ্চিৎ ছবি তুলিবার বাসনা লইয়া শাহবাগ এলাকায় গিয়াছিলুম। কিন্তু গিয়া পুরাই টাসকি…. হায় হায় ইহা আমি কোথায় আসিলুম !! এক বৎসর পূর্বেও তো এইখানকার অবস্থা এইরূপ ছিলো না। আমি কাহাদের ছবি তুলিব ? সমগ্র একালাই আম জনতা বহির্ভূত। সকলেই হাতেই শোভা পাইতেছে এক বা একাধিক ক্যামেরা। এমনকি রিকশাওয়ালার দিকে নজর যাইতেও খেয়াল করিলুম, তিনিও তাহার ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোনখানা বাহির করিয়া ছবি তুলিতে ব্যস্ত !!!
যদিওবা কোথাও ক্যামেরাবিহীন কোন ব্যক্তির দেখা মিলিয়া যায় (যাদের বেশীরভাগই নাবালক, অর্থাৎ ক্যামেরা নামক বস্তুটি সম্পর্কে তাহারা অবগত নহেন) তাহা হইলেই বাকি সকলে তাহাকে ঘিরিয়া ধরিয়া ক্যামেরা বাগাইয়া ধরে। দূর হইতে দেখিলে মনে হয়, যেন এক পাল পিপিলিকা একটি চিনির দানার সন্ধান পাইয়াছে এবং কে কোন দিক দিয়া কিভাবে তাহা ভক্ষণ করিবে তাহা চিন্তা করিয়াই তাহারা ব্যাকুল। এইরূপ অবস্থা দেখিয়া বিরস বদনে যাত্রা করিলাম কলাবাগান মাঠের উদ্দেশ্যে। ঘুড়ি উৎসব হইতেছে নাকি ওইখানে। কিন্তু হায়, ওইখানেও বিধি বাম। গোটা কয়েক ঘুড়িয়াল ছাড়া বাকি যাহাদের দেখা মিলিল তাহাদের সকলের হাতেই ক্যামেরা নামক মহান যন্ত্রটি বিদ্যনাম।
ছবি যখন ফ্র্যাংকেনস্টাইন ফেক!
মূল লেখার লিংক
গত সোমবারে আমেরিকার উত্তর-পূর্ব কোণের অধিক সমৃদ্ধ ও বসতিপূর্ন এলাকায় আঘাত হানে শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় স্যান্ডি। ক্যাটাগরি দুই এই হারিকেনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্কসহ গুরুত্বপূর্ণ জনপদের কোস্টাল এরিয়াগুলো। বিদ্যুৎ, সাবওয়ে ট্রেন সার্ভিস, রাস্তাঘাট, বন্দর ইত্যাদি ব্যাপক ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ক্ষতির মুখে পড়ে অঞ্চলগুলো। Mary Shelley এর বিখ্যাত দানব Frankenstein যেন রূপ নিয়েছিলো সুপারস্টর্ম স্যান্ডির, তাই এর প্রাকান্ডতা বোঝাতে দেয়া হয় Frankenstorm নাম। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে এটা শতাব্দীর ভয়াবহতম ঘুর্ণিঝড়, যা কমপক্ষে ৫০ মিলিয়ন মানুষের জীবনকে এনেছিলো হুমকির মুখে এবং তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে সম্পূর্ণরূপে। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০০ তে, যারমধ্যে ৭০ জনই শিকার হয় ক্যারিবীয় উপকূলীয় আঘাতের। যাই হোক, স্যান্ডির ভয়াবহতা, রেখে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতির হিসেব এসবের কোনোটাই আমার আজকের লেখার মূল বিষয় নয়। যে কারণে সব কাজ ফেলে এক প্রকার জোড় করেই লেখাটি লিখতে বসলাম তা কিছুটা ভিন্ন।
ভিসুভিয়াসের জ্বালামুখ থেকে
স্কুল জীবনের ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণীতে ভূ-গোল নামের এক বিষয় জীবনে যুক্ত হল, ভূ মানে পৃথিবী আর গোল মানে তো রাউন্ড মানে গোল! গোল পৃথিবীর সমস্ত বিষয়-আসয় নিয়ে জানার চেষ্টা চলতে থাকল তখন থেকেই- সমভূমি কাকে বলে, মালভূমি কি, বিশ্বে কত ধরনের পর্বত আছে, ভূমিকম্প কেন হয়, মহাদেশগুলো তৈরি হল কি করে এমন অনেক কিছুর সাথে আগ্নেয়গিরি! যে পাহাড় থেকে মাঝেই মাঝেই আগুনের রূপ নিয়ে গরম পাথর বাহির হয়, তাদের নাম আবার লাভা। জানলাম বিশ্বে তিন ধরনের আগ্নেয়গিরি আছে – মৃত, সুপ্ত এবং সক্রিয়। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে একটার সমস্ত লাভার ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেছে, অন্যটার শেষের পথে, কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ লাভা বমি করে জানান দেয় যে- বেঁচে আছি, আর সক্রিয় আগ্নেয়গিরির কাজকর্মে তার ধারে কাছে ভিড়তে পারবেনা না।
রাতঃদার সাথে স্মরণীয় চারটি দিন
মূল লেখার লিংক
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ছবি দিয়ে হাতী পোস্ট। মোট ৩১ টা ছবি।
গতমাসের শেষদিকে খোমাখাতায় একটা বন্ধুত্ব চেয়ে নোটিশ পাই। প্রেরকের বক্তৃতা দাওয়ার ছবি এবং নাম দেখে আমি ধরেই নেই যে ইনি নির্ঘাত কোনও রাজনৈতিক দলের পাণ্ডা। কাজেই পত্র পাঠ তাকে ‘নট নাউ’ বলে দেই। কিছুক্ষণ পরেই দেখি ইনবক্সে একটা মেসেজ। রাতঃস্মরণীয়দা দাবী করেছেন যে ওই আসাদুজ্জামান আসাদ ব্রাকেটে তাজ আসলে উনিই। আর ওই বক্তৃতা দাওয়ার ছবিটাও উনার। তো আর কী করা! এইবারতো এ্যডাইতেই হয় বন্ধু হিসেবে। তারপর বেশ কিছুদিন চলে গেল। হটাৎ করেই এই মাসের (সেপ্টেম্বর ২০১২) ৪ তারিখে উনাকে একটা মেসেজ পাঠাই। বলি যে ‘আমাদের না কী সব ল্যাটিচিউড / লংগিচিউড মারকিং করতে যাওয়ার কথা। কবে যাব?’ সচলেই তানভীর ভাইয়ের দাওয়া পোস্টে এটা নিয়ে কথা হয়েছিল।
উনি অল্পক্ষণের ভিতরেই জানালেন যে এর ভিতরেই দুইটা পয়েন্টের কাছাকাছি যাওয়া হলেও ওই আয়োজন করে আর যেতে পারেননি সময়ের অভাবে। এবং প্রস্তাব করলেন যে শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) উনার সাথে খুলনা যেতে পারি ইচ্ছে করলে। একেবারে সুন্দরবনের কিনারা পর্যন্ত যাবেন উনি অফিসের কাজে। সেদিনই সম্মতি দিয়ে দিলেও জানালাম পরের দিন নিশ্চিত করব। কারন হাতে যে কাজ আছে সেটার দায়িত্ব কাউকে দিয়ে যেতে হবে। সেরকম একজনকে খুঁজে বের করে জানিয়ে দিলাম রাতঃদা ওরফে আসাদ ভাই ওরফে তাজ ভাইকে, যে আমি যাচ্ছি।
সানশাইন স্টেইটঃ সেইন্ট অগাস্টিন
মূল লেখার লিংক
সলোমন আইল্যান্ডের স্টলের সামনে এক বিশাল দেহী রাজার ছবি রাখা, তার সামনে দাঁড়িয়ে এক সলোমন আইল্যান্ডার সেই রাজার গুণগান করে যাচ্ছে। তার বর্ণনার শেষ দিকে উচ্ছাস কমে এসে দূরবর্তী বিষাদের ছোঁয়া, সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম”। তারপর? “দেন দ্যা ইউরোপিয়ান কেইম, এন্ড মেসড এভরিথিং”। আমার সাথে অ্যামেরিকান রেড ইন্ডিয়ান কারো সাথে দেখা হয়নি কখনো, তবে আন্দাজ করতে পারি, এই বিষয়ে তাদের কী বলার থাকতে পারে।
অ্যামেরিকার ভিসা পাওয়া নিয়ে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে নিশ্চয় কেউ একজন এই জোকটা বানিয়েছিলো, “একমাত্র কলম্বাসই ভিসা ছাড়া অ্যামেরিকা ঢুকেছিলো”। অ্যামেরিকা বলতে উত্তর, মধ্য, দক্ষিণ অ্যামেরিকা মিলিয়ে যে নতুন পৃথিবী বুঝানো হয়, সেটা যদি ধরি, তাহলে এই জোকের কথা সত্যি। কিন্তু ইউএসএতে ঢুকার সৌভাগ্য এমনকি কলম্বাসেরও হয়নি!
ছবি ব্লগ: ইয়োরোপ- ১
অনেকদিন ধরেই স্বপ্ন দেখি দেশে ইয়োরোপ নিয়ে একটা বড় আলোকচিত্র প্রদর্শনী করব, অন্য অনেক স্বপ্নের মতই এটিও বাস্তব হয় না, কিন্তু ছবি তোলা হতেই থাকে, দেশে দেখা চলতেই থাকে। সেই নানা ছবির স্তুপ থেকে কিছু নিয়ে এই গোঁজামিল পোস্ট, জানি প্রকৃতি এবং মানুষ তেমন ভাবে আসে নি, অনেক দেশ বাদ পড়ে গেছে, কিন্তু আপনাদের ভাল লাগলে একে একে সব দিয়ে দিব, বাদ রাখব না একটি ভূখণ্ডও।
শক্তিশালী সব ছবিগুলো – ১
মূল লেখার লিংক
এমন অনেক ছবি আছে যা একবার দেখলে মনের মধ্যে তীব্র প্রভাব ফেলে। হতে পারে সেই ছবি আনন্দের, কষ্টের, ঘৃণার, আবেগের অথবা সহিংসতার। ছবি তোলার মুন্সীয়ানার চেয়ে ছবির বক্তব্যই এ ক্ষেত্রে মূখ্য। এমন ই কিছু ছবির তালিকা চাওয়া হয়েছিলো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট রেডিটের ব্যবাহারকারীদের কাছে। আজকে সন্ধ্যায় সেই ছবিগুলোই দেখছিলাম (এই লেখার পরের পর্বে চেষ্টা করব সেখান থেকে কিছু ছবি সচলের পাঠকদের সাথে পরিচিত করতে)। ছবিগুলো দেখার পরে যেটা মনে হলো মানুষের মনে দাগ কেটেছে এমন ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের নৃশংসতা, প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভয়াবহতা, এসবকিছুর বিপরীতে সাধারন মানুষের অসহায়ত্ব, মৃত্যুর বিভীষিকা এবং সেই সাথে মহাকাশের বিশালতা। মহাকাশের কিছু ছবিসহ অল্প কিছু ছবি বাদ দিয়ে, প্রায় প্রতিটা ছবিই প্রচন্ড মন খারাপ করে দেয়। হয়ত এমন অনুভূতিই আমাদের মনে দাগ কাটে বেশী। ছবি দেখতে দেখতে ভাবছিলাম বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার দেখা এমন কিছু ছবির কথা। এরকম কিছু ছবি নিয়ে এই লেখা। ছবির কপিরাইট নিয়ে আপত্তি মন্তব্যের ঘরে জানালে সেই ছবি সরিয়ে দেওয়া হবে। পাঠকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, মন্তব্যের ঘরে এমন কিছু ছবি শেয়ার করার জন্য। সেই সাথে কেন ছবিটা আপনার মনে দাগ কেটেছে বা ছবির প্রেক্ষাপট উল্লেখ করলে আরো ভালো হয়।
অবধারিত ভাবেই এই ছবিগুলোর বেশীটা জুড়েই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি। মুক্তিযুদ্ধের অগণিত ছবির মাঝে, দুটি ছবির প্রতি আমি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হই। সর্বকনিষ্ঠ বীরপ্রতীক ১২ বছর বয়সী (লালুর কথা ) আমরা সবাই জানলেও আমি তার চেয়েও বেশী তাড়িত হই নাম না জানা এই ছোট্ট শিশুটার ছবি দেখে, বল নিয়ে খেলার বদলে মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে-
দুবাই ভ্রমণ: ছবি ব্লগ-৪
মূল লেখার লিংক
ভূমিকা: দুবাই ভ্রমণের ছবি নিয়ে এটা দ্বিতীয় লেখা, ছবি বিষয়ক পোস্ট হিসেবে চার নম্বর। দুবাই ভ্রমণের প্রথম ছবি নিয়ে যে পোস্ট দিলাম কয়েকদিন আগে, সেখানে কোন এক অজানা কারণে ৫ টা ছবি ছাড়া কিছুই দেখা গেলনা। যদিও দেয়ার আগে অনেক অনেক বার চেক করে দেখেছিলাম। অচল হবার কারণে পরে পোস্টটা এডিটও করতে পারলাম না। কোনদিন অচলত্ব কাটলে ঠিক করব পোস্ট টা। আগের লেখাগুলোর লিংক:
‘কাতার’ থেকে: ছবি ব্লগ-১
‘কাতার’ থেকে: ছবি ব্লগ-২
ক্যামেরাবাজি: আসুন ‘প্যানিং’ শিখি
দুবাই ভ্রমণ: ছবি ব্লগ-৩
সতর্কীকরণ: ট্যুর ছিল মোটামুটি দৌড়ের উপর, সময় নিয়ে পারফেক্ট ছবি তুলার উপায় ছিলনা। ছবি বেশিরভাগই ধর তক্তা মার পেরেক স্টাইলে তোলা। তাই ছবির গুণাগুণে হতাশ হতে পারেন, হলেও অসুবিধা নাই, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।
গত পোস্ট ছিল মেট্রো দিয়ে জেবেল আলি স্টেশনে নামা পর্যন্ত, গন্তব্য ছিল ইবনে বতুতা মল। আজকের পোস্ট হবে ইবনে বতুতা মলে ঘুরাঘুরি নিয়ে।
প্রথমে ইবনে বতুতা মল নিয়ে সংক্ষেপে একটু বলি। এটা অনেক বড় একটা শপিং মল, শেখ জায়েদ রোডের উপর জেবেল আলি ভিলেজের কাছেই অবস্হিত, নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৫ সালে। মলের নামকরণ করা হয়েছে বিখ্যাত পরিব্রাজক ইবনে বতুতার নামানুসারে এবং এর গঠনশৈলীও ইবনে বতুতার জীবন ও ভ্রমণের সাথে সম্পর্কযুক্ত। বতুতা সাহেব তার জীবদ্দশায় পৃথিবীর অসংখ্য স্হানে ভ্রমণ করেছিলেন। তার মধ্য থেকে ৬ টি উল্লেখযোগ্য দেশের উপর ভিত্তি করে এই মলে নির্মাণ করা হয়েছে ছয়টি কোর্ট বা এলাকা:
১) চীন
২) ভারত
৩) পারস্য
৪) মিশর
৫) তিউনিশিয়া
৬) আন্দালুসিয়া