Archive for April, 2017

April 28, 2017

ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতঃ কী, কেন এবং কীভাবে এর শুরু?

মূল লেখার লিংক
ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বর্তমান সময়ের চলমান দীর্ঘতম সংঘাত। কিন্তু কেন কীভাবে এ সংঘাতের সূচনা তা আমরা অনেকেই জানি না। তবে যারা সকল মুসলিম দুর্ভাগ্যের আড়ালে ইহুদী বা খ্রিস্টান চক্রান্ত খুঁজে পেতে চান, হয়ত এ লেখাটা তাদেরকে ঐতিহাসিক অর্থেই ভিন্ন একটা আঙ্গিকে পথ দেখাবে। আর যারা সত্যি সত্যি এ সংঘাতের উৎস জানতে এ লেখাটি পড়ছেন, আশা করি খুব সহজ সরল ভাষায় পুরো সংঘাতের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা পেয়ে যাবেন।


কেন এই দ্বৈরথ?

read more »

April 28, 2017

ফ্রাঙ্ক এবেগ্নেল: এক প্রতারকের সিকিউরিটি কনসালটেন্ট হয়ে উঠার গল্প

মূল লেখার লিংক
লোকটির পুরো নাম ফ্রাঙ্ক উইলিয়াম এবেগ্নেল জুনিয়র। ১৯৪৮ সালে নিউইয়র্কে জন্ম তার। পৃথিবীর অন্যতম সেরা এই প্রতারক শুধুমাত্র চেক জালিয়াতির মাধ্যমেই ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক হয়ে গিয়েছিলেন! আর অন্যান্য প্রতারণা তো আছেই। এসব প্রতারণা করতে গিয়ে তাকে কমপক্ষে ৮ বার নিজের পরিচয় পাল্টাতে হয়, যার মধ্যে এয়ার লাইন্স পাইলট, ডাক্তার, আইনজীবী- কোনোকিছুই বাদ ছিল না! এ সবকিছুই তিনি করেছিলেন তার ২১ তম জন্মদিনের পূর্বে! আর এ প্রতারকই একসময় হয়ে যান এফ.বি.আই-এর পরামর্শক!

ফ্রাঙ্ক এবেগ্নেল

read more »

April 28, 2017

পৃথিবীর অদ্ভুত যত ব্যাংকনোট

মূল লেখার লিংক
ব্যাংকনোট, বিল, পেপারবিল বা এক কথায় নোট যা-ই বলা হোক না কেন, জিনিসটা ছাড়া যে আধুনিক সমাজে এক পা-ও নড়া যায় না তা বলাই বাহুল্য। আজ থেকে তেরশ বছর আগে চীনে প্রথম কাগজের নোটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তারপর মার্কো পোলোর হাত ধরে চীন থেকে প্রথমে ইউরোপ, তারপর গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাংকনোটের এই বিশাল ইতিহাসের ফাঁকফোকরে অদ্ভুত কিছু গল্প লুকিয়ে থাকা বিচিত্র নয়। আর অদ্ভুত, বিচিত্র, আজগুবি সেই গল্পগুলোই তুলে ধরা হলো আজকের এই লেখায়।

প্রাচীনতম নোট

সপ্তম শতাব্দীতে প্রথম ব্যাংকনোট তৈরি হলেও সাধারণ সমাজে এর প্রচলন শুরু হয় দশম শতাব্দীতে, সং রাজবংশের হাত ধরে। সিচুয়ান সাম্রাজ্যের রাজধানী চেংডুতে ব্যবহার শুরু হয় ‘জিয়াওজি’ নামের এই ব্যাংকনোটের। নিউমিজম্যাটিস্টরা (মুদ্রা বিশেষজ্ঞ) এই নোটকেই প্রথম ব্যাংকনোট হিসেবে ঘোষণা করেন। নকল হবার ভয়ে এই নোটের উপর প্রচুর ছিলছাপ্পড় দেওয়া হত।


চীনের প্রাচীনতম নোট

read more »

April 28, 2017

স্কাইস্ক্র্যাপারের কারিগর ড. ফজলুর রহমান খান

মূল লেখার লিংক
সুদূর মার্কিন মুলূকের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগো। শহরটিতে মেঘ ফুঁড়ে দাঁড়ানো ভবনের সংখ্যা মন্দ নয়। কিন্তু একটি ভবনকে আলাদা করে চিনে নিতে কষ্ট হয় না কারো, স্কাইস্ক্র্যাপারগুলোর মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে সে। ভবনটির আদি নাম সিয়ার্স টাওয়ার, মালিকানা বদলের কারণে বর্তমান নাম উইলিস টাওয়ার। ১১০ তলা বিশিষ্ট এ ভবনটি ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত শুধু শিকাগো শহরের নয়, পুরো পৃথিবীর উচ্চতম ভবন ছিলো। আর সেই সর্বোচ্চ ভবনটির রূপকার ছিলেন একজন বাংলাদেশী! তিনি শুধু কোনো বাংলাদেশীর ঔরসে জন্ম নিয়েছিলেন বলে নয়, উনার বেড়ে ওঠার পুরোটাই বাংলাদেশে। বলছিলাম ক্ষণজন্মা প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খানের কথা, যাকে ‘স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আইনস্টাইন’ বলা হয়!

উইলিস টাওয়ার বা তৎকালীন সিয়ার্স টাওয়ার
উইলিস টাওয়ার বা তৎকালীন সিয়ার্স টাওয়ার

read more »

April 18, 2017

সত্যি না কল্পনা: ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান

মূল লেখার লিংক
তপ্ত মরুভূমির বালিতে হঠাৎ যেন চোখ ধাঁধিয়ে যায়। বালুর বুক চিরে জেগে উঠেছে গাঢ় সবুজে ঢাকা আস্ত একটি পাহাড়। তার গা বেয়ে ঝরনা নেমে আসছে তিরতির করে। সবুজের মাঝখানে থোকায়-থোকায় ফুটে আছে রঙ-বেরঙের কত নাম না জানা ফুল। হঠাৎ দেখলে বিভ্রম জাগতেই পারে। কিন্তু সত্যি এরকমই নাকি একদিন ছিল ব্যাবিলনের ঝুলন্ত বাগান।

ঐতিহাসিক হেরোডোটাস এই বাগানের মনোরম শোভায় এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, বাগানটিকে তিনি প্রাচীন পৃথিবীর এক অপার বিস্ময় বলে অভিহিত করেছিলেন। ২৮০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ব্যাবিলনের এক পুরোহিত বেরোসাসের লেখা ‘ব্যাবিলোনিয়া’ বইয়ে প্রথম ‘ব্যাবিলনের শুন্য উদ্যান’ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এরপরে আরও অনেকে এ বিষয়ে কথা বলেন।

ব্যাবিলনের শুন্য উদ্যানের এক কাল্পনিক চিত্র

read more »

April 18, 2017

ভ্যাটিকানের গোপন আর্কাইভ: এক অমীমাংসিত রহস্যের সন্ধানে

মূল লেখার লিংক
গোপন’- মাত্র তিন অক্ষর দিয়ে গঠিত এমন একটি শব্দ যা মানুষকে চুম্বকের মতো কাছে টেনে আনে। ইন্টারনেটে কোথাও গোপন ছবি বা ভিডিওর লিঙ্ক দেয়া, সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। দৈনিক পত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেলে কোনো গোপন রহস্য উদঘাটনের খবর আসলে সাথে সাথেই ভিড় জমে যায় সেখানে। এ যেন আসলেই এক অন্যরকম চুম্বক, মানব অনুভূতিকে নিয়েই যার কারবার!

ভ্যাটিকানের গোপন আর্কাইভের অংশবিশেষ

read more »

April 18, 2017

দিয়াতলোভ গিরিপথে মৃত্যু: অর্ধশতাব্দীর অমীমাংসিত রহস্য

মূল লেখার লিংক
প্রচণ্ড তুষারপাত হচ্ছে, সাথে হাঁড় কাপানো শীতল বাতাস। ‘মৃতদের পাহাড়’ নামে পরিচিত এক পর্বতের ঢালে তাঁবু গেড়েছে নয় অভিযাত্রী। গা ছমছম করা চারিদিক, রাতের আঁধারে অশুভ আতঙ্কের ফিসফিসানি। হঠাৎ তাঁবু ছিঁড়ে সজোরে বেরিয়ে পড়লো অভিযাত্রীরা। মৃত্যু তাড়া করেছে তাদের। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় গরম কাপড় ছাড়াই খালি পায়ে দৌঁড়াতে শুরু করল রুদ্ধশ্বাসে। মরণ ঠেকানোর সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হলো। কারো মৃত্যু হলো ঠাণ্ডায় জমে গিয়ে, কারো বুকের পাঁজর ভেঙে গুঁড়িয়ে, কারো মাথার খুলি ফেটে গিয়ে।

আজ থেকে প্রায় ছয় দশক আগে, রাশিয়ার বরফঘেরা ‘ডেড মাউন্টেন’ পর্বতের কাছেই ঘটেছিল এমন এক নির্মম ঘটনা। সময়টা ছিল ১৯৫৯ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। কোনো এক রাতে নয় জন অভিযাত্রীর একটি দল সে পর্বতের ঢালে তাঁবু গেড়েছিল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে। দলের সবাই ছিল দক্ষ পর্বতারোহী। কিন্তু প্রত্যকের ভাগ্যেই সে রাতে ভয়ঙ্কর এক নিয়তি নির্ধারিত ছিল, তা হলো রহস্যময় ও ভয়ঙ্কর মৃত্যু। আজ পর্যন্ত কিনারা হয়নি সে রহস্যের। সেই পর্বতের যে গিরিপথ ধরে অভিযাত্রীরা এগিয়ে গিয়েছিল মৃত্যুর দিকে, দলনেতা ইগর দিয়াতলোভের নামানুসারে সেটার নাম দেয়া হয়েছে ‘দিয়াতলোভ পাস’ বা ‘দিয়াতলোভ গিরিপথ’।

রাশিয়ার তৎকালীন স্ফের্দোলোভস্ক শহর থেকে এই অভিযাত্রিকেরা বেরিয়ে পড়েছিল উরাল পর্বতমালার উদ্দেশ্যে। বরফের মাঝে অভিযানের জন্য স্কি করার সাজ-সরঞ্জামসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েই বেরিয়েছিল তারা। মোট দশ জনের এই দলে ছিল দুজন নারী আর আটজন পুরুষ। তাদের মধ্যে তিনজন ছিল প্রকৌশলী আর বাকি সাতজন শিক্ষার্থী। সবারই পড়াশোনা তৎকালীন উরাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে, আজকে যেটা উরাল ফেডারেল ইউনিভার্সিটি নামে পরিচিত।

দশ অভিযাত্রী। ছবি সূত্র: dyatlov-pass.com

read more »

April 10, 2017

মোহাম্মদ আশরাফুল: একটি তারার নিভে যাওয়ার গল্প

মূল লেখার লিংক

বনশ্রীর নিজ বাড়িতে আশরাফুল;  ছবিসূত্রঃ espncricinfo.com

অ্যাশ, লিটল মাস্টার কিংবা বাংলাদেশের ‘আশার ফুল’, তিনি মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকে কতটা ভালবাসে তা লিখে প্রকাশ করা দুঃসাধ্য। কিন্তু মানুষের এই অপরিমেয় ভালবাসার প্রতিদান নিজের ক্যারিয়ারে প্রতিফলিত করতে পারেননি আশরাফুল। রূপকথার মতোই যিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, শেষটা করেছিলেন নামের সাথে বড্ড অবিচার করে। ১২ বছরের লম্বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তার অতটাও রঙিন নয়। টেস্টে তার গড় ২৩, একদিনের ক্রিকেটে মাত্র ২২।

read more »

April 8, 2017

হাতেম তাঈঃ অদ্বিতীয় দানবীর

মূল লেখার লিংক
ছোটবেলা থেকে পাঠ্যবইয়ের সুবাদেই হোক আর দাস্তানে-হাতেম-তাঈ টিভি সিরিজের দর্শক হিসেবেই হোক, দানবীর হাতেম তাঈ এর নাম শোনে নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আশ্চর্য হলেও সত্য, অনেকেই তাকে কেবল উপকথার চরিত্র হিসেবেই মনে করে, অথচ তিনি সত্যিকারের রক্ত মাংসের মানুষ ছিলেন! তার পরোপকার আর মহৎ হৃদয়ের গল্প এতটাই অবিশ্বাস্য যে তিনি ইতিহাসের তাম্রলিপি থেকে উপকথার পাতায় স্থান পেয়ে গেছেন।

হাতেম-আল-তাঈ এর পুরো নাম হাতেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবন সাদ আত-তাঈ। অর্থাৎ বাবার নাম আব্দুল্লাহ। দাদা সা’দ আবু সাফফানা, ছিলেন তাঈ বংশের, সময়কাল ষষ্ঠ শতাব্দী। তাঈ বংশ বাস করত সৌদি আরবের উত্তর পশ্চিম কোণে “হাইল” নগরীতে।

read more »