মূল লেখার লিংক
গোয়েন্দা বই পড়তে আমরা সকলেই ভালবাসি। ইংরেজি সাহিত্যে সাহিত্যের এই ধারা বেশ পুরাতন হলেও বাংলা সাহিত্যের জন্য তা খুব বেশি পুরনো নয়। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক হিসেবে মানা হয় পাঁচকড়ি দেকে। উনার গল্পে ছিলেন দুইজন প্রধান গোয়েন্দা। একজন অরিন্দম বসু আরেকজন দেবেন্দ্রবিজয় মিত্র। তবে গোয়েন্দাকাহিনীর দিক থেকে সর্বপ্রথম সাফল্যের চূড়ায় ওঠে সম্ভবত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যোমকেশ’। তবে জনপ্রিয়তার সবচেয়ে শীর্ষস্থানে যে গোয়েন্দা চরিত্রের নাম থাকবে তিনি হলেন ‘ফেলুদা’। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা! তিনিই বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা কাহিনীকে প্রতিষ্ঠিত করে যান। আজ আমরা শুনবো বাংলা সাহিত্যের একই সাথে তুখোড় এবং বিখ্যাত কয়েকটি গোয়েন্দা চরিত্র সম্বন্ধে।
বাংলা সাহিত্যের তুখোড় এবং জনপ্রিয় কয়েকজন গোয়েন্দা
ঐতিহ্যে দেশজ কাপড়ঃ মসলিন, জামদানির ইতিহাস
মূল লেখার লিংক
রূপ-বৈচিত্র্যে বাংলা যেমন মনোলোভা ও অনন্য তেমনি শিল্পে-ঐতিহ্যেও কিছুমাত্র কম যায়না। বাংলার শিল্প, ইতিহাস, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সর্বোপরি কারিগরি সূচারুতার মেলবন্ধন বাংলাদেশের পোশাকশিল্প। বাংলাদেশী কাপড়ের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে যেমন ঐতিহ্যের ইতিবৃত্ত তেমনি ঠাস বুনটের জালে আটকে গেছে যেনো বাঙ্গালিয়ানার নিপুণ আবেগ ও স্বপ্নের মিশেল।
ঢাকাই মসলিন, জামদানী; টাঙ্গাইলের তাঁত; রাজশাহী সিল্ক কিংবা মিরপুরের বেনারসী শৈল্পিক আভিজাত্যে যেরূপ অনুপম, গুণাগুণ ও মানে ততোধিক আকর্ষণীয়ও বটে! এগুলোর সমাদর বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে, আর এসবের ছোঁয়ায় সর্বত্র প্রস্ফুটিত বাংলার জয়ধ্বনি। এই লেখনীর সম্পূর্ণ নির্যাস তাই ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী বস্ত্রের রং-সুতোর গল্পেরই প্রতিচ্ছবি।
মসলিন
বাংলাদেশের ইতিহাসে আদি ও অকৃত্রিম ঐতিহ্যের এক অনন্য নাম মসলিন তথা ঢাকাই মসলিন। মসলিন অত্যন্ত সূক্ষ, মিহি, বিশুদ্ধ, উজ্বল এবং মোলায়েম একপ্রকার বস্ত্রবিশেষ যা মুঘল আমলের প্রাচীন বাংলার এক অপূর্ব সম্পদ ছিলো। অনেকের মতে ইরাকের বাণিজ্যনগরী মসুল থেকে মসলিন নামটি এসেছে। মসলিন মুঘল আমলের বাদশাহী ও খানদানী নারী-পুরুষ এবং উচ্চপদধারী বিত্তবানদের পোশাক ছিলো।
ইসলামের স্বর্ণযুগঃ ছয় শতাব্দী জুড়ে বিস্তৃত এক সোনালী সময়
মূল লেখার লিংক
ইসলামের ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গেলে প্রায় সময়ই আমাদের যে শব্দ-যুগলের মুখোমুখি হতে হয়, তা হলো ‘ইসলামের স্বর্ণযুগ‘। কিন্তু আসলে কোন সময়টাকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়? আর কেনই বা এমনটা বলা হয়ে থাকে? ইসলামের স্বর্ণযুগের উত্থান, সেই সময়কার নানা নিদর্শন এবং পরবর্তীকালীন করুণ পতনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের এ বিশেষ আয়োজন।
ইসলামের স্বর্ণযুগের ব্যাপ্তিকাল নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। তবে অধিকাংশের মতে সময়টা সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে ত্রয়োদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিস্তৃত। কেউ কেউ আবার অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীকে ধরেছেন। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে অবশ্য এ সময়কাল পঞ্চদশ-ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত দীর্ঘায়িত। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ইসলামের স্বর্ণযুগ শেষ হবার প্রায় ছয় শতক পর আসলে এ উপমাটির উদ্ভব হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসের নানা সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়েই এ উপমাটি এসেছিলো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- ১৮৬৮ সালে Handbook for Travelers in Syria and Palestine এর লেখক দামাস্কাসের মসজিদগুলোর সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন যে, এগুলোকে ‘ইসলামের স্বর্ণযুগের নিদর্শন’-এর মতো লাগছে।
এবেলঃ গণিতের নোবেল
মূল লেখার লিংক
গণিতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার — এবেল পুরস্কার
নরওয়ে থেকে দেয়া হয় এই পুরষ্কার ।
যারা জানেন না বা ভুলে গেছেন তাদের জন্য একবার স্মরণ করিয়ে দেই,
অন্য অনেক বিষয়ে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হলেও ম্যাথে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয় না ।
ক্রুশিয়াল ম্যাচ – সর্বকালের সেরা নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড
মূল লেখার লিংক
১.
সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান কে? ব্র্যাডম্যান, ভিভ রিচার্ডস, শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, গ্যারিফিল্ড সোবার্স, জ্যাক হবস – এমন কিছু নাম আপনার মাথায় আসবে।
সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? পেলে, ম্যারাডোনা, ক্রুয়েফ, ডি স্টেফেনো, জিদান, মেসি – এরকম কিছু নাম আপনার মাথায় আসবে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতম যুদ্ধ ব্যাটেল অব স্ট্যালিনগ্রাডের কাহিনী
মূল লেখার লিংক
ক্ষয়ক্ষতি, ভয়াবহতা কিংবা প্রাণহানির বিচারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীর যেকোন সময়ের যেকোন যুদ্ধের চেয়ে মারাত্মক। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর ধরে চলা এই বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এই বিশ্বযুদ্ধে একদিকে ছিল জার্মানি, জাপান, ইতালি এবং তাদের মিত্রদের নিয়ে গড়া অক্ষশক্তি অন্যদিকে ছিল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও তাদের মিত্রদের নিয়ে গড়া মিত্রশক্তি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানব সভ্যতার ইতিহাসে সৃষ্টি করেছিল এক নতুন বাঁকের। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রসর এতগুলো জাতি ইতিহাসে আর কখনই এভাবে টোটালিটারিয়ান ওয়ারে অর্থাৎ যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েনি। তাই শেষ হয়ে যাওয়ার ৭১ বছর পর আজও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস সমরকৌশলবিদ ও সমরবিদ্যায় আগ্রহীদের যেন চুম্বকের মত আকর্ষণ করে। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষের কাছেও ব্যাপক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রসর জার্মানদের পরাজয়ের অন্যতম নিয়ামক হিসাবে বিবেচনা করা হয় এডলফ হিটলারের রাশিয়া আক্রমণের বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে। রাশিয়াতে জার্মান বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল স্ট্যালিনগ্রাডের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে হেরে যাওয়া। তাই বলা চলে এই একটি যুদ্ধই বদলে দিয়েছিল গোটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট।
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধকৌশলের কাহিনী
মূল লেখার লিংক
শারীরিক আঘাতের চেয়ে মানসিক আঘাতের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার ফলাফল সবসময়ই সুদুরপ্রসারী হয়ে থাকে। বিভিন্ন খেলাধুলার সময় একপক্ষ যে নিজের দল সম্পর্কে নানা ভীতিকর কথা বলে এবং অপরপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে, সেটিও এক প্রকার মনস্তাত্ত্বিক কৌশল ছাড়া আর কিছুই না। একই কথা বলা যায় যুদ্ধ-বিগ্রহের বেলাতেও। যুদ্ধের সময়ও একটি বাহিনীর নেতারা এমন সব কৌশল প্রয়োগের চেষ্টা করেন যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়া যায়। ফলে চেতনাশক্তিতে দুর্বল সেই প্রতিপক্ষকে তখন যুদ্ধের ময়দানে হারানোটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় তাদের জন্য। পৃথিবীর ইতিহাস থেকে এমনই কিছু মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের কৌশল তুলে এনেই সাজানো হয়েছে আজকের লেখাটি।
পেলুসিয়ামের যুদ্ধ
৫২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পার্সিয়ান সাম্রাজ্য এবং প্রাচীন মিশরের মাঝে পেলুসিয়ামের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধের ফলে শাসনক্ষমতা তৎকালীন ফারাওদের হস্তচ্যুত হয় এবং সিংহাসনে বসেন পার্সিয়ান রাজা দ্বিতীয় ক্যাম্বাইসেস। এ যুদ্ধের বিস্তারিত বর্ণনা দিতে এ লেখাটা লিখছি না। বরং কীভাবে সূক্ষ্ম এক চালের সাহায্যে পুরো মিশরীয় বাহিনীকে প্রথমে মানসিক ও পরে শারীরিকভাবে পর্যুদস্ত করেছিলো পার্সিয়ানরা, সেটা বলতেই এ লেখা।
একটি ছবির গল্প
মূল লেখার লিংক
সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯০ সালের এপ্রিল। শারজায় অস্ট্রেলেশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তখনো হাঁটি হাঁটি পা পা বাংলাদেশের। মাত্র ৫টি ওয়ানডে ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে মার্টিন ক্রো-জন রাইট আর মার্ভ হিউজ-ক্রেইগ ম্যাকডারমট-ডিন জোনসদের অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ।
সিঙ্গাপুরের চিঠি: যে উপায়ে সবাই ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিক
মূল লেখার লিংক
ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকাগুলোয় গেলে নানান নকশার বাড়ি-ঘর চোখে পড়ে। বিশেষ করে ধানমণ্ডি, গুলশান ও বনানীর আবাসিক এলাকার বাড়ি-ঘরগুলো বেশ দৃষ্টিনন্দন।
একেকটা বাড়ির সৌন্দর্য একেক রকম এবং একটার সাথে আরেকটার মিল নেই বললেই চলে। কিন্তু ঢাকার দৃষ্টিকটু দিকটি হলো কারও খুব সুবিশাল কারুকার্যখচিত অট্টালিকা, কারও আবার থাকারই জায়গা নেই।
বিরিয়ানির যত কথা – উৎপত্তি ও ইতিহাস
মূল লেখার লিংক
বিরিয়ানি পছন্দ করেনা এমন মানুষ ক’জন আছে বলুন? পুরনো ঢাকার কাচ্চি কিংবা তেহারীর নাম শুনেছেন অথচ জিভে জল চলে আসেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। এই চিত্র যে শুধু আমাদের দেশে তা কিন্তু নয়। গোটা ভারতবর্ষের প্রতিটি আনাচে কানাচে সেই চারশ বছর আগের মুঘল আমল থেকে আজ অবধি এতটুকুও কমেনি বিরিয়ানির আবেদন। তাই বিখ্যাত রম্যসাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায় বলতে হয় “একি ভানুমতি! একি ইন্দ্রজাল”। হাজারো ভাষা, বর্ণ, গোত্র, জাতি ও ধর্মে বিভক্ত ভূ ভারতবাসীকে এক টেবিলে বসাতে পারে বোধ হয় দুটি জিনিস। তার মধ্যে একটি হল ক্রিকেট আর অন্যটি বোধহয় বিরিয়ানি। এই ঐন্দ্রজালিক বিরিয়ানির জানা অজানা নানা দিক নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি।
বাংলার অ্যানিমেশন যাত্রার ইতিহাস
মূল লেখার লিংক
১৮৯০ সালে বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হলেও অ্যানিমেশনের যাত্রা অবিশ্বাস্যভাবে এর অনেক আগে, ১৬০০ সালের গোড়ার দিকে। মূলত অ্যানিমেশনের ধারণা পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ আগে। পটের মধ্যে মানুষের হাঁটার প্রতি পদক্ষেপের ছবি পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় সেখানে থেকেই এই অসাধারণ বিষয়টার যাত্রা শুরু। এছাড়া লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকাতেও এর ছায়া দেখা যায়। ১৯০৬ সালের আগে ম্যাজিক লানটার্ন , থাউমাট্রোপ, ফিনাকেটাস্কোপ, জয়ট্রোপ, ফ্লিপ বুক , প্রেক্সিনোস্কোপের মাধ্যমে অ্যানিমেশন দেখানো হত।
যেভাবে থেমে গেল মোঙ্গলবাহিনীর জয়রথ
মূল লেখার লিংক
বলতে দ্বিধা নেই মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর সেনাবাহিনী হল মধ্যযুগের মোঙ্গল বাহিনী যার সূচনা হয়েছিল চেঙ্গিস খানের হাতে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে তাতার বাহিনী নামে পরিচিত ছিল মোঙ্গল বাহিনী। ১২০৬ সালে চেঙ্গিস খানকে মঙ্গোলিয়ার স্তেপের একচ্ছত্র অধিপতি বা গ্রেট খান হিসাবে ঘোষণা করার পর মোঙ্গল বাহিনী একে একে জয় করে নিয়েছিল এশিয়া ও ইউরোপ বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের মালিক ছিল মোঙ্গলরা। চেঙ্গিসখানের সময় থেকে শুরু হওয়া মোঙ্গলদের জয়যাত্রা অব্যাহত ছিল পরবর্তী গ্রেট খানদের সময়ও। ভাবতে অবাক লাগে ১২০৬ সাল থেকে ১২৬০ সাল এই অর্ধশত বছরে তাঁরা একটি যুদ্ধেও হারেন নি। বাগদাদ, সমরখন্দ, বেইজিং, বুখারা, আলেপ্পোর মত বড় বড় শহর তাতারি হামলায় মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। কি পূর্ব কি পশ্চিম এমন একটিও রাজ্য ছিলনা যারা মোঙ্গলদের গতি পথে বিন্দুমাত্র বাঁধা সৃষ্টি করতে পেরেছিল। বিশ্বজয়ের যে আকাঙ্খা অপূর্ণ রেখে মারা গিয়েছিলেন চেঙ্গিস খান, তার পুত্র ও পৌত্ররা সেইটার যেন সত্য করতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের বর্বরতায় ইউরোপ ও এশিয়ার কোটি কোটি নিরীহ মানুষ প্রাণ দিয়েছ অনেকটা বিনা প্রতিরোধে। তাই সারা দুনিয়ার মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল মোঙ্গলদের থামানো বোধ হয় অসম্ভব। কিন্তু ১২৬০ সালে হঠাৎই থেমে গেল অপ্রতিরোধ্য মোঙ্গলদের জয়রথ। এক অসাধ্য সাধন হল ফিলিস্তিনের গাজার অদূরে আইন জালুত প্রান্তরে। মোঙ্গল প্রথম পরাজয়ে সেই অবিশ্বাস্য কাহিনী নিয়ে লেখা হয়েছে এই প্রতিবেদনটি।
জুয়াড়ি
মূল লেখার লিংক
লাল পাগড়ি সোজা করতে করতে মুসাফির বলল, কথা সত্য কাশেম। হিরাত নগরী বড় ঠাণ্ডা। বরফ পড়ে টুপটাপ শীতের সময়। তবে মোটা জামা পরনে থাকলে আরামই লাগে।
মাথা চুল্কে কাশেম বলল, ও আচ্ছা। আপনের মুর্গাও কি মুটা জামা গায়ে দিত হিরাতে?
ঠা ঠা করে হেসে বৃদ্ধ মুসাফির বলল, আরে ধুর না। আমার মোরগ দুইটা বদমাইশ, জামাকাপড় গায়ে রাখবে না। একবার চটের ছালা পরিয়ে দিয়েছিলাম, একটা আরেকটারে খামচায় ছালা তুলে দিয়েছে।
বিকেল।
আমগাছের তলায় বসে মুড়ি আর বাতাসা খেতে খেতে আলাপ করছিল নবাবী হেঁশেলের পাচক কাশেম আলী এবং মুসাফির আলাউদ্দিন। মুসাফির নতুন মানুষ, দূর্গের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ক্লান্ত হয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিল। এমন সময় কাশেম আলী হাজির। প্রতিদিন দুপুরের খানা পাক করে সবাই খেতে বসলে পরে কাশেম আলী এসে এই গাছের নিচে একটা ঘুম দেয়। আজ এসে দেখে মুসাফির এক বসে আছে, পাশে খাঁচার মত কী একটা। তার ভেতর দুইটা মোরগ।
আমাদের ঢাকা আর ফিদেলের হাভানা
মূল লেখার লিংক
এক দশক আগে যখন ত্রিমহাদেশীয় সম্মেলনের সূত্রে কিউবায় গিয়েছিলাম, তখন ফিদেল কাস্ত্রোর অসুস্থতার শুরু। তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। আমার বেশি আগ্রহ ছিল কিউবার সমাজের মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তির অনুসন্ধান। সে কারণে ফিদেলের সহযাত্রী অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘুরেছি অনেক স্থানে, প্রতিষ্ঠানে। চারদিকে সমুদ্র আর একটু দূরের ভয়ংকর প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মধ্যে কিউবা কীভাবে মানুষ ও প্রকৃতিকে কেন্দ্রে রেখে ভিন্ন এক সমাজ গড়ে তুলেছে, তা এক বিশাল প্রশ্নই বটে।
জগদীশচন্দ্র বসুর প্রথম বৈজ্ঞানিক সফর
মূল লেখার লিংক
১৮৯৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জগদীশচন্দ্র ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশানের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বিদ্যুত-তরঙ্গ সম্পর্কে বক্তৃতা দিলেন। “Complete apparatus for studying the properties of electric waves” শীর্ষক বৈজ্ঞানিক বক্তৃতাটি বিপুল সমাদৃত হয়। দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্যার জে জে থমসন, লর্ড কেলভিন, স্যার অলিভার লজ প্রমুখ পদার্থবিজ্ঞানী। প্রথম বক্তৃতাতেই জগদীশচন্দ্র পৃথিবীবিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের মনযোগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হলেন। বক্তৃতা শেষে লর্ড কেলভিন মঞ্চে উঠে জগদীশচন্দ্রকে অভিনন্দন জানান। শুধু তাই নয়, তিনি জগদীশচন্দ্র ও অবলা বসুকে তাঁর গ্লাসগোর বাসভবনে নিমন্ত্রণ করেন। প্রফেসর অলিভার লজও বসু দম্পতির সম্মানে পার্টি দিলেন।
ইংল্যান্ডের প্রথিতযশা পদার্থবিজ্ঞানীরা জগদীশচন্দ্রের যন্ত্রপাতির সূক্ষ্মতা দেখে অবাক হয়ে গেলেন। যন্ত্রপাতি তৈরিতে আশ্চর্য রকমের ইঞ্জিনিয়ারিং স্কিল ছিল জগদীশচন্দ্রের। তিনি বক্তৃতায় যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিলেন তা নিম্নরূপ: