মূল লেখার লিংক
আজ থেকে প্রায় এক শতাব্দী আগেকার কথা। জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশের হার্জোগেনোরাখ শহরে তখন বাস করতেন এক দম্পতি। স্বামী ক্রিস্টোফ ভন উইলহেল্ম ড্যাজলার কাজ করতেন একটি জুতার কোম্পানিতে, আর স্ত্রী পলিনা স্পিত্তুলার ছিলো ছোট একটি লন্ড্রির দোকান। ক্রিস্টোফ ও পলিনার সেই ঘর আলো করে এসেছিলো চার সন্তান। স্বামী-স্ত্রীর আয় খুব বেশি না হলেও ফ্রিৎজ, রুডলফ, অ্যাডলফ ও মেরিকে নিয়ে সুখেই কেটে যাচ্ছিলো তাদের দিনগুলো। এদের মাঝে মেরি তার মায়ের সাথে লন্ড্রিতেই কাজ করতো। আর তিন ভাই মিলে সেই কাপড়গুলো এরপর বিতরণের কাজ সারতো। এজন্য প্রতিবেশীরা তাদেরকে ‘দ্য লন্ড্রি বয়েজ’ নামেই চিনতো। চার ভাই-বোনের মাঝে রুডলফ ড্যাজলার ও অ্যাডলফ ড্যাজলারের নাম দুটো মনে রাখুন। কারণ আমাদের আজকের কাহিনী এ দু ভাইকে নিয়েই।
অ্যাডলফ বনাম রুডলফঃ ঐতিহাসিক যে দ্বন্দ্বে জন্ম নিয়েছিলো বিখ্যাত অ্যাডিডাস ও পুমা
জার্মানির বন শহরের পথে পথে
মূল লেখার লিংক
আগেই বলেছিলাম- ভাইবার, স্কাইপ, হোয়াটস অ্যাপের এই যুগে দেশ ও প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে এত দূরে থাকা সত্ত্বেও আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করতাম না। নতুন বাসাতেও ওয়াই-ফাই নেওয়া হয়নি।
স্মার্টফোন না কেনার কারণে ট্রামে-বাসে স্মার্টফোনে আসক্তদের দেখে মোটেও ভালো লাগতো না। বরং যারা বইয়ের পাতা উল্টাতেন, তাদের দেখতে ভালো লাগতো।
আমাদের দেশে ট্রেনে-বাসে বই পড়ার অভ্যাসটা এখন দেখাই যায় না। অথচ জার্মানিতে কিন্তু আপনি ট্র্রাম, বাস বা ট্রেনে সব বয়সি মানুষের হাতেই বই দেখবেন। আর ট্যাবে, কিন্ডলে বই পড়ার মধ্যে কি কোন আনন্দ আছে? বইয়ের গন্ধ নেই, ভালোলাগা নেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতম যুদ্ধ ব্যাটেল অব স্ট্যালিনগ্রাডের কাহিনী
মূল লেখার লিংক
ক্ষয়ক্ষতি, ভয়াবহতা কিংবা প্রাণহানির বিচারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পৃথিবীর যেকোন সময়ের যেকোন যুদ্ধের চেয়ে মারাত্মক। ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর ধরে চলা এই বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এই বিশ্বযুদ্ধে একদিকে ছিল জার্মানি, জাপান, ইতালি এবং তাদের মিত্রদের নিয়ে গড়া অক্ষশক্তি অন্যদিকে ছিল আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া ও তাদের মিত্রদের নিয়ে গড়া মিত্রশক্তি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মানব সভ্যতার ইতিহাসে সৃষ্টি করেছিল এক নতুন বাঁকের। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রসর এতগুলো জাতি ইতিহাসে আর কখনই এভাবে টোটালিটারিয়ান ওয়ারে অর্থাৎ যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েনি। তাই শেষ হয়ে যাওয়ার ৭১ বছর পর আজও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস সমরকৌশলবিদ ও সমরবিদ্যায় আগ্রহীদের যেন চুম্বকের মত আকর্ষণ করে। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষের কাছেও ব্যাপক আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে প্রযুক্তিগতভাবে অগ্রসর জার্মানদের পরাজয়ের অন্যতম নিয়ামক হিসাবে বিবেচনা করা হয় এডলফ হিটলারের রাশিয়া আক্রমণের বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে। রাশিয়াতে জার্মান বাহিনীর শোচনীয় পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল স্ট্যালিনগ্রাডের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে হেরে যাওয়া। তাই বলা চলে এই একটি যুদ্ধই বদলে দিয়েছিল গোটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট।
বিদেশ ভালো: জার্মানে বাঙালির কর্মবিলাস
মূল লেখার লিংক
বাঙালি’র বিদেশ বলতেই ছিলো বিলাত। তখনকার সময় সমুদ্রের পানিকে বলা হতো কালা পানি। আর বিদেশ গমন ছিলো কালা কাজ।
রাজা রামমোহন রায়। প্রথম বাঙালি, বলা হয় তিনিই প্রথম শখের বসে এই কালা কর্ম সাধন করে বিলাতে যান। তার কিছুদিন পরে দ্বারকানাথ ঠাকুরও ব্রিটেনে যান।
বিদেশ ভালো: বন্ধুনং বিভ্রাটং ভজঘটং খট খটং
মূল লেখার লিংক
নানাদেশের বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে লেখক
অ্যা বুন্ডু! টোমার বাট বালা করি রানা করাচি। টরকারি নুন কম ডিবা বালো লাগে মাচ ।
‘মুরাদ টাকলা’ মার্কা এই বাংলায় কথা বলে আমার বন্ধু মার্সেল। আমি মজা করে ডাকি মার্সেলোওওওওও। ওর প্রিয় বাংলা গান- ও পাকি উড়ি উড়ি উড়ি আ আ যায়ে।
কানাডা থেকে জার্মানি
মূল লেখার লিংক
আল্পস পর্বতমালা
অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিল জার্মানি ঘুরতে যাব। জার্মানির আখেন শহরে আমার একজন বন্ধু থাকেন। আবার জার্মানির বিখ্যাত রাইন নদী দেখারও ইচ্ছা ছিল। তাই এই ছুটিতে জার্মানি যাব বলে মনস্থির করলাম। যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে টিকিট কিনে ফেললাম। আমি কানাডার এডমন্টনে থাকি। বছরে আট মাস বরফে ঢাকা থাকে উত্তর কানাডার এই শহরটি।
বিদেশ ভালো: কবরে মোর ফুল নয় আলু দিও
মূল লেখার লিংক
আলুর রাজা ‘কিং ফ্রেডরিক (দুই) অফ প্রুশিয়া’র কবর
‘পেরেন্নিয়াল সোলানাম টিউবারোসাম’.. কি এটা? উচ্চারণের পর দাঁত দাঁতের জায়গায় থাকলে এবং এর মানে না জানলে.. ‘জানি না’ লিখে ইমেইল দেন।
বিদেশ ভালো: জর্মনে বাঙালি পোলা আগুনের গোলা
বিজয়ীদের লেখা ইতিহাসে যারা ঘৃণিত, তাদের কিছু ভালো কাজ
মূল লেখার লিংক
আজ পৃথিবীতে এমন ব্যাক্তি খুঁজে পাওয়া খুব কস্টকর হবে ,যারা হিটলার বা তার নাৎসি পার্টিকে ঘৃণা করেন না। ২য় বিশ্বযুদ্ধের কারন হিসেবে বেশীরভাগ মানুষই হিটলারকে দায়ী করবে। তবে আমার ব্যাক্তিগত মতামত হলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের মূলকারণ ছিলো অসম ভার্সাই চুক্তি, মূলত ভার্সাই চুক্তির মধ্যেই রোপিত হয়েছিলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের বীজ।
২য় বিশ্বযুদ্ধে ট্যাংক
জার্মানিতে প্রথম প্রহর
মূল লেখার লিংক
২০০২ সালের ১০ এপ্রিল। স্থান: জার্মান ভাষার পরীক্ষাকেন্দ্র, ড্রেসডেন ইউনিভার্সিটি। মাত্র দুই দিন আগে জার্মানিতে পা দিয়েছি। ভিসা সময়মতো পেলেও সনদপত্রজনিত কিছু জটিলতার কারণে কয়েকটা দিন দেরি হয়ে গেছে দেশ ছাড়তে।
শুভ জন্মদিন আলী সাহেব
‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ :০৪ : কিভাবে আক্রমন করবেন?
মূল লেখার লিংক
১৯৩৮ সালে চেকস্লাভিয়ার জার্মান সীমান্তবর্তী সুদেতানল্যান্ডের জনতার জন্য এডলফ হিটলারের দরদ উথলে উঠল। তার কয়েকদিন আগেই চাপাবাজি আর ভোটাভুটি করে গায়ের জোরে তিনি অস্ট্রিয়া দখল করে নিয়েছেন। এইবার তার দাবী, সুদেতানল্যান্ডের জনতা মানসে সাচ্চা জার্মান, আর তারাও অস্ট্রিয়ানদের মতই পিতৃরাস্ট্র জার্মানীর কোলে ফিরে আসতে উন্মুখ। ঐ বর্বর চেকস্লাভিয়ান সরকার এদের মাইরাই ফেলবে, তাই নিতান্তই মহান জার্মান জাতির স্বার্থে সুদেতানল্যান্ড তার চাই ই চাই।
মৃত্যুঞ্জয়ী নেতাজি : বাঙালির রক্তকথা
মূল লেখার লিংক
জীবন মানেই যুদ্ধ, জয় কর। জীবন মানেই মানবতা, মানবিক হও।
প্রেসিডেন্সি কলেজের বার্ষিক উৎসব। সভাপতি হয়েছেন ইতিহাসের অধ্যাপক ইএফ ওটেন। কয়েকজন ছাত্র উদ্বোধন সংগীত গাইতে শুরু করল- বঙ্গ আমার জননী আমার ধাত্রী আমার দেশ। ইংরেজ সাহেবের সেই গান সহ্য হল না। বক্তৃতা দেওয়ার সময় রাগ ফেটে পড়লো। বললেন, ইউ বেঙ্গলিজ আর বার্বেরিয়ানস। ছাত্ররা সব সভা ছেড়ে চলে গেল।
একটি অসাধারণ মুভি: Einstein and Eddington
মূল লেখার লিংক
বিজ্ঞানের ইতিহাস কিংবা বিজ্ঞানীদের জীবনী নিয়ে খুব কম মুভি বানানো হয়েছে। Einstein and Eddington এই ধাঁচের একটি মুভি। এই মুভিতে জিনিয়াস আইনস্টাইনের General theory of relativity নিয়ে আইনস্টাইনের পথচলাকে তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা যায় বিজ্ঞানের জন্য আইনস্টাইনের চরম ত্যাগ স্বীকার। আইনস্টাইন ম্যাক্স প্লাঙ্কের অনুরোধে জার্মানির বার্লিন ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন।এই জন্যে আইনস্টাইনকে তাঁর পরিবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ছেড়ে আসতে হয়।এই দূরত্ব পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রী মিলেভার সাথে তাঁর বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।