পারস্য। বর্তমান ইরানের প্রাচীন নাম ছিল পারস্য। জরথুশত্র নামে এক ধর্মপ্রচারক প্রাচীন পারস্যে একটি ধর্ম প্রচার করেছিলেন। ধর্মটি জরথুশত্রবাদ বা Zoroastrianism নামে পরিচিত। ধর্মটির মূল স্বরূপ একেশ্বরবাদী। উপাস্যের নাম আহুর মাজদা। জরথুশত্রর রচনাবলী আভেস্তা বা জেন্দ আভেস্তা-যা জরথুশত্রবাদ-এর প্রধান ধর্মগ্রন্থ।
জরথুশত্রবাদী ধর্মের ইতিহাস
ফ্রাম নামের মেরু জাহাজ
চারিদিকে ধবধবে সাদা, ফেনিয়ে ওঠা সাদা দুধ জমাট বাধলে যেমন গাঢ় সফেদ বর্ণ ধারণ করে তার চেয়েও অদ্ভুত এক আঁধার দূর করা আলোর সমাহার চারিদিকে, আকাশ থেকে শুরু করে দূরদিগন্ত- সবখানেই এই শুভ্র বর্ণের অস্তিত্ব বর্তমান। অবস্থান ৮৫ ডিগ্রী ৫৭ মিনিট উত্তর, সুমেরু থেকে মাত্র হাজার মাইল দক্ষিনে গ্রিনল্যান্ড পাড়ি দিয়ে মানবজাতির ইতিহাসে কাঠের সবচেয়ে মজবুত জাহাজ ফ্রাম, ক্যাপ্টেন ডেকে দাড়িয়ে আছেন বিশ্বখ্যাত দুঃসাহসী নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী ফ্রিতজফ নানসেন, গন্তব্য উত্তর মেরু বিন্দু , যেখানে তখন পর্যন্ত কোন মানব সন্তানের পায়ের ছাপ পড়ে নি, সময়- ১৮৯৩ সাল।
কিন্তু বিধিবাম, এই জমাট বাঁধা উত্তর মহাসাগরের পর্বতপ্রমাণ আইসবার্গগুলো ঠেলে ফ্রামের আর মেরুবিন্দুতে পৌঁছানো হল না, বিফল মনোরথে ফিরতে হয় নানসেনকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আর কোনও কাঠের জাহাজ এর বেশী উত্তরে পৌঁছাতে পারে নি।
এরপর ১৯১০ সালে আরেক অকুতোভয় প্রাতঃস্মরণীয় নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী রোয়াল্ড অ্যামুন্ডসেন সেই একই জাহাজ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন অচেনা সুদূর দক্ষিণের পথে, গন্তব্য চির দক্ষিণের কুমেরু বিন্দু
কন্ডের সাহেবের ঢাকা – ১
ইংরেজ জোসি কন্ডের (১) সাহেব ঘুরতে ঘুরতে আমাদের ঢাকা শহর আসেন ১৮২৪ সালে। তাঁর ১৮২৮ সালে প্রকাশিত বই The modern traveller: a popular description, geographical, historical, and topographical of the various countries of the globe, Volume 3 এর ১৩৪ পৃষ্ঠা হতে আমাদের প্রিয় ঢাকা শহরের বর্ণনার ভাবানুবাদ।
শহরের নাম হিসেবে ঢাকা নামটা নতুন (২) এখান থেকে তেরো মাইল দক্ষিন পূর্বে সোনারগাঁও শহরে এর পত্তন মনে হয়। ১৩৪০ সালে প্রথম স্বাধীন মুসলমান শাসক ফখরুদ্দিন সোনারগাঁয়ে ঘাঁটি গাড়েন, কিন্তু এখন তা একটা গ্রাম মাত্র। আকবরের আমলে রাজমহল (বর্তমান ভারতের ঝাড়খন্ডের সাহিবগঞ্জ জেলার শহর) কে রাজধানী করা হয়, কিন্তু ১৬০৮ সালে সুবাদার (৩) ইসলাম খাঁ ঢাকাকে তাঁর রাজধানীতে রূপান্তর করেন আর তৎকালীন মহান মোগল বাদশা জাহাঙ্গীরের নামানুসারে শহরের নতুন নাম দেন জাহাঙ্গীরনগর।
নাসীম হিযাজী : ইতিহাসের ঈগল পাখি
শ্রীমান প্রমথ চৌধুরীর নিরালা তপোবনীয় সাহিত্যের গুণবিচারে ‘কাগজে এ্যারেস্টেড’ যে খোল-নলচেসমৃদ্ধ সাহিত্যের পাত্তা পাওয়া যায়, তার মান্যতা নিয়ে ঈমানের অনীহা আছে। যখন সাহিত্যকে ঈমানের আতর দিয়ে খুশবুদার করার প্রত্যয় অনাদি, তখন এই কাগুজে সংজ্ঞা অস্বীকার করার গরজ থাকাটা আমাদের ফরজিয়্যাত। প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যে খেলা বা সাহিত্য নিয়ে খেলা কিংবা সাহিত্য দিয়ে খেলার ক্রিয়াকর্ম সম্পর্কিত যে প্রবন্ধ আমরা পাই সেখানে তিনি নিপাট আপ্লুত ভঙ্গিমায় বলেছেন- ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া, কারও মনোরঞ্জন করা নয়’। কেবলই আনন্দ, শুধুই আনন্দ- সাহিত্যের কোন দায়ও নেই, দায়িত্বও নেই। সাহিত্যপাঠে পাঠক কাঁদবে, হাসবে, স্ফুর্তিতে উল্লসিত হবে- পাঠকের দায়িত্ব এটুকুনই। পাঠ শেষ, দায়িত্বের পাটও শেষ। দুঃখিত! প্রমথ চৌধুরীকে মানতে পারলাম না।