মানুষ কি না বিজয় করেছে? মানুষের জিজ্ঞাসু দৃষ্টির-সীমা দূর থেকে বহুদূর দিয়েছে পাড়ি। উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু, এক মহাসাগর থেকে আরেক মহাসাগর, দূর্গম এভারেস্ট কিংবা আমাজান সবখানেই পৌঁছে গেছে মানুষ। কিন্তু মঙ্গলে পা রাখা হয়নি আজও। এবার সেই মঙ্গলে কেবল পা রাখাই নয়, স্থায়ী বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে নেদারল্যান্ডের একটি অলাভজনক সংস্থা।
আবেদনময়ী মঙ্গল-2
মূল লেখার লিংক
সর্বশেষে যে মুভিতে মঙ্গলকে নিয়ে তেনা পেচানো হয় তার নাম জন কার্টার । এই মুভিতে মঙ্গলকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে মনে হল মঙ্গল গ্রহ মানুষ বান্দর আর অন্যান্যা পশু আইমিন এলিয়েন থাকার জন্য তৈরী হয়েছে। মঙ্গল যে কতটা আবেদনময়ী তা আপনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন এই সব গল্প উপন্যাস পড়ে। যদিও বিজ্ঞান কিন্তু মঙ্গলের জটিল সব চিএ একেঁছে।
যাই হোক যেখানে আমরা ছিলাম:
“২০০১ মার্স ওডিসি” এই সফল প্রজেক্টটির নামটি দেওয়া হয় স্যার আর্থার সী ক্লাকের ২০০১ স্পেস ওডিসি বইটি নাম থেকে। আমরা সকলেই জানি এটি একটি কিংবদন্তি বই এবং মুভি। এই প্রজেক্টটি এখন চলমান। এর বর্ধিত মিশন হচ্ছে মঙ্গলে কোন প্রাণী আছে কিনা তা খুজে বের করা।$২৯৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে প্রজেক্টের জন্য।
আমাদের মঙ্গল যাত্রা
মূল লেখার লিংক
মঙ্গল গ্রহ । একটি লাল গ্রহ। হয়ত এই পৃথিবীর পর আমাদের মানুষের নতুন বাসস্থান হতে যাচ্ছে পবর্ত বেষ্টিত লাল মাটির এই গ্রহটি। আমরা মানুষেরা নতুন বাসস্থানের আশায় গ্যালাক্সী থেকে গ্যালাক্সী ঘুরে বেড়াচ্ছি—এই স্বপ্নের প্রথম বাস্তবায়ন হয়ত মঙ্গল গ্রহ থেকেই শুরু হবে। যদিও এখন পর্যন্ত একে মানুষ বসবাস করার উপযুক্ত গ্রহ বলা যায় না, তবুও আমাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে যাচ্ছি আমরা নিয়মিত। সেই প্রতিনিধি গুলো প্রতিনিয়ত মঙ্গল সম্পর্কে আমাদের ধারনার পরিবর্তন করে দিচ্ছে। হয়ত মঙ্গলে বাস করা এলিয়েন রা আমাদের এই যন্ত্রদেখে মুচকি হাসছে।
মঙ্গলে আমরা কম প্রতিনিধি পাঠানোর চেষ্টা করিনি। মোটামুটি ৪৯টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে মঙ্গল জয়ে। সেই জয় হয়ত আমরা এখনও পাইনি, তবে আমরা অভুক্ত মানুষের জ্ঞানের নেশা যতদিন থাকবে ততদিন আমরা চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি।
মঙ্গলে মনুষ্য বসতি: মিশন ২০২৩ !!
মূল লেখার লিংক
বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনীগুলোতে তো হরহামেশাই মানুষ এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাতায়াত করে, আবার স্টিভেন স্পিলবার্গের চলচ্চিত্রে নতুন গ্রহে মনুষ্য বসতি স্থাপন করার গল্প দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায় আমাদের সবারই। পৃথিবীর বাইরে আমাদের সৌরজগত এর অন্যান্য গ্রহ নিয়ে আমাদের আজন্ম আগ্রহ। এমন কেউ নেই যার জীবনের কিছুটা সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখে কাটেনি। কল্পনার পাখা মেলে আমরা ওই অসীম শূন্যতার দিকে তাকিয়ে কতো জিনিস নিয়ে ভাবতে পছন্দ করি। চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন এঁকে দেয়ার পর থেকেই জল্পনাকল্পনার শুরু, আবার কবে যাচ্ছে মানুষ নতুন আরেকটি গ্রহে। সায়েন্স-ফিকশন এর পাতা থেকে উঠে এসে কবে সত্যি হচ্ছে অন্য গ্রহে মনুষ্য বসতি স্থাপনের চিন্তা। মানুষ কবে শুরু করবে আন্তঃগ্রহ সমাজ ব্যবস্থা কিংবা কবে আমরা এই ঘুরে আসি বলে টুক করে প্যারিস ঘোরার বদলে চলে যাবো মঙ্গলে!!