রিও ডি জ্যানিরো, নামটিই যথেষ্ট ভ্রমণপিপাসুদের উম্মাতাল করে তুলবার জন্য। কি নেই সেখানে! আছে সাদা বালির রোদেলা সৈকত, সবুজ বন, আছে সাম্বার তালে তালে জীবনকে উপভোগের মদির আহ্বান, বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো কার্নিভ্যালের কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আছে হাত বাড়িয়ে দেওয়া যীশু আর আছে ফাভেলা !
ল্যাতিন আমেরিকা ভ্রমণের শেষ গন্তব্য হিসেবে রিওকে বেঁছে নেবার পর থেকেই চিন্তা করেছি ফাভেলা যেতেই হবে এক বেলার জন্য হলেও, কিন্তু ব্রাজিল যাওয়া যতটা সহজ ( মোটেও সহজ কিছু নয়, অন্য সব কিছু বাদ দিলেও মহা দূরে, সেই সুবাদে বিমান ভাড়াও চড়া) ফাভেলা ততটাই কঠিন। রিওতে এক উষ্ণ সন্ধ্যায় পদার্পণের পরে তিনটি মহামূল্যবান দিন ইতিমধ্যেই ব্যয় হয়ে গেছে অন্যান্য কাজে, কিন্তু ফাভেলা থেকেই গেছে সোনার হরিণ হয়ে।
ওহ, বলাই হয় নি- ফাভেলা কি ? বস্তি, আরো ভদ্র ভাষায় বললে ব্রাজিলের বস্তি শহর। কয়েক বছর আগেও ব্রাজিলের যাবতীয় অপরাধ বিশেষত মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের সবটুকুই নিয়ন্ত্রিত হত এই বস্তি বা স্ল্যাম থেকে।
তবে, ফাভেলার সাথে প্রথম বার পরিচয় কিন্তু মাইকেল জ্যাকসনের অমর গান দে ডোন্ট কেয়ার অ্যাবাউট আস- এর ভিডিও থেকে, রিওর এক বস্তিতেই শুটিং হয়েছিল গানটির।
তার উপর ফাভেলার নামে শুনতাম নানাবিধ গুজব, সেখানে নাকি পর্যটকদের যাবার কোন উপায় নেই, কারণ ছিনতাই সেখানের নৈমিত্তিক ঘটনা। তারচেয়েও বিপদজনক কথা- যে কোন সময়েই সেখানে লেগে যায় একাধিক মাস্তান দল বা মাফিয়া গ্যাংয়ের বন্দুকযুদ্ধ, সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবে!
তাই এই স্থানগুলি সযত্নে এড়িয়েই চলে ভ্রমণপিপাসুসহ নির্বিবাদী নাগরিকেরা, কিন্তু বাড়তি কিছু পয়সা কামানোর আশায় একটি বিশেষ মহল ফেঁদে বসল অপূর্ব এক ফন্দী- পর্যটকদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে কিছু কিছু ফাভেলা পরিদর্শন করানো, তারা জানত এই ব্যাপারে মানুষের অদম্য কৌতূহল, তারা নিজের চোখে দেখতে চায় কেমন আছে সাধারন বস্তিবাসী, কেমন তাদের জীবনযাত্রা, দিন-রাত্রির জীবন। ব্যস, প্রথম থেকেই হাউস ফুল এই পরিকল্পনা! চড়া দামে ( প্রায় ১০০ ডলার) টিকিট করেও সব দর্শনার্থীরা এক পায়ে খাঁড়া এই বিচিত্র জনপদগুলো দেখার আশায়।
উল্লেখ্য, ব্রাজিলের সব বড় শহরেই একাধিক ফাভেলা আছে, এবং দেশটির মত জনসংখ্যার শতকরা ৬ ভাগ অর্থাৎ ১১,৬ মিলিয়ন মানুষ এই বস্তি শহরগুলোতেই বাস করে।
আমরাও তক্কে তক্কে আছি এমন ট্যুরের অপেক্ষায়, একাধিকবার জায়গা পেলাম না অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে। আবার এত নিরাপত্তা থাকা শর্তেও পই পই করে বলে দেওয়া হচ্ছে, ফাভেলা ভ্রমণের সময় এমন কোন জিনিস সাথে নেওয়া যাবে না, যেটা হারালে নিজের খুব খারাপ লাগবে ! মানে, হারাতে বা ছিনতাই হতেই পারে।
এর মাঝে ইয়ুথ হোস্টেলে কাইপিরিনিয়ার আড্ডায় তাইওয়ানের জুজুৎসু চ্যাম্পিয়ন হুয়াং ইউ-জেনের সাথে পরিচয় জমে উঠতেই ( বিশ্বের সেরা জুজুৎসু স্কুল রিওতেই অবস্থিত ! ) আরো চমকপ্রদ সব তথ্য মিলল ফাভেলা নিয়ে। বেশ ক,মাস হল এই মহানগরীতে আছে হুয়াং, সেই সুবাদে আলো- অন্ধকার দুই জীবনের সাথেই বেশ একটা পরিচিতি আছে তার, বলল- এই খানে যা চাও, মিলে যাবে। সেই সাথে শোনাল তার একাধিকবার নানা ফাভেলা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, আমাদের টুকটাক ছবি তোলার শখ আছে শুনে প্রথমেই সতর্ক করে বসল- ফাভেলায় কারো অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা নিষিদ্ধ! বিশেষ করে নাইট ক্লাবে আর নাচের আড্ডায়!
আমরা তো অবাক, নাচের আড্ডাও বসে সেই আঁধার ছাওয়া বস্তিতে! চোখ টিপে হুয়াং গলায় নাটকীয় ভাব এনে জানালো- সেই নাচের আসরে যে কি ঘটে না দেখলে বিশ্বাস করবে না, ফাভেলার প্রতিটি রমণী নৃত্যপটীয়সী! অসাধারণ নিপুণ তারা এই শিল্পে, এবং মঞ্চের উপরে তাদের অঙ্গিভঙ্গী দেখে মনে হয় বাতাসের সাথে সঙ্গমরত তারা ( They are having sex with the air, ছোকরা ঠিক এই কথা বলেছিল) , প্রমাণও করে দিল সে মোবাইলে জমিয়ে রাখা ভিডিও দেখিয়ে। অদ্ভুত ছন্দময় তাদের দেহের আন্দোলন, কদর্য অশ্লীলতা নেই সেখানে, আছে শতভাগ পেশাদারিত্বের ছোঁয়া আর প্রাণপ্রাচুর্যের উচ্ছলতা।
ফাঁকে বলে বসলাম, ওদের সাথে যদি নাচে যোগ দিই? ( ট্যাঙ্গোর মত সুচারু নাচ শিখতে বাকী থাকলেও কবছর আগেও স্বর্ণকেশীদের সাথে জুটি বেঁধে স্থানীয় পাবে সেরা নাচের পুরস্কার পেয়েছি, অবশ্য কি পুরস্কার জিজ্ঞাসা করবেন না দয়া করে, নিজেরই মেজাজ খারাপ হয়ে পুরাই উদাস হয়ে যায়, ২ জনের বিগ ম্যাক! ) অবুঝ বালকের পরিবার সম্পর্কিত অবান্তর প্রশ্ন শুনলে বুড়ো ঝামা দাদু যেভাবে স্নেহের হাসি দেন, তেমন হাসি দিয়েই পূর্ব এশিয়ান ব্যাটা জানালো- নাচতে যেও তখনই, যদি বুঝতে পার তুমি তাদের চেয়ে ভাল নাচ !
এদিকে জানুয়ারির ১৭ তারিখের নির্ধারিত ফাভেলা দর্শন বিশেষ কারণে বাতিল ঘোষণা করা হল, তিতিবিরক্ত হয়ে তিন বন্ধু মিলে ( সাথে মেক্সিকান হুয়ান ভিদাল এবং ইসাইয়াস সেরণা) কাঁধে তোয়ালে ফেলে মিনিট তিনেক দূরের বিশ্ববিখ্যাত সৈকত কোপাকাবানা অথবা লেবননে যাবার উদ্দেশ্যে জোর কদমে হাঁটছি, এমন সময় দেখা ম্যারিলিনের সাথে। মহিলা আমাদের ইয়ুথ হোস্টেলেই রান্নাবান্নাসহ অন্যান্য কাজে নিয়োজিত। আগেও দেখা হলেও কথা হয়েছে, আর দশজন ব্রাজিলীয়র মতই চরম আড্ডাবাজ এবং উচ্ছল। আমাদের গন্তব্য শুনেই হৈ হৈ করে উঠলেন, বললেন- ব্যাটারা, ফাভেলা যাবা, আমাকে বলবে না? আমি নিজেই এক ফাভেলাতে থাকি, নিজের বাড়ীতে, আর আমার সাথে গেলে তোমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ! এখন বাড়ীতেই যাচ্ছি, চাইলে আসতে পার সবাই।
আরেব্বাস, এত মেঘ না চাইতেই সুনামি! সাথে সাথে এক দৌড়ে সাথের তোয়ালে হোস্টেলে রেখে ক্যামেরা ব্যাগে পুরে ম্যারিলিনের সাথে এক জনাকীর্ণ বাসে সঙ্গী আমরা। ভিড়ের ঠেলায় কোনদিকে চলেছি কিছুই ঠাহর করতে পারছি না, কিন্তু মিনিট সাতেক পরেই বাস থামল, এক পাহাড়ের দোরগোড়াতে। সবগুলো দাঁত বের করে ম্যারিলিন বলল, আমার ফাভেলা ভিজিগালে স্বাগতম, বন্ধুরা!
ভিজিগাল! কি ছন্দময় একটা নাম! অবশেষে ফাভেলার প্রবেশের মুখে আমরা। দেখি, সেই পাহাড়ের পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত সবখানেই ক্ষুদে ক্ষুদে বাড়ী। কিন্তু আমরা যাব কিভাবে এত উপরে? দেখা গেল, ফাভেলার মুখে বেশকটি মোটর সাইকেল দাড় করানো, স্থানীয় তরুণরা ব্যস্ত মোটর সাইকেলে করে উপরে যেতে ইচ্ছুকদের নিয়ে । সেই কারণেই প্রতি মোটর সাইকেলে ২টা করে হেলমেট। আধা ডলারেই ভাড়া রফা করে চেপে বসলাম প্রত্যেকেই, ছুটল সেই যান।
দারুণ রকমের অ্যাডভেঞ্চার, পাহাড়ি সরু রাস্তা বেয়ে মোটর সাইকেল উঠছে তো উঠছেই, একের পর এক বাঁক পেরিয়ে যাচ্ছে ড্রাইভার নিপুণ ভঙ্গীতে, সেই সাথে আছে উপর থেকে ধেয়ে আশা যানবাহনের ভিড়, মাঝে মাঝে ট্র্যাফিক জ্যামও বাঁধল কয়েক মুহূর্তের জন্য।
কিন্তু মূল উত্তেজনা জায়গাটি একটি ফাভেলার ভিতরে বলে, যেন জেনে শুনে প্রাণ হাতে বাঘের গুহায় ঢোকা নিছক রোমাঞ্চের খোঁজে, যদি কেউ জ্যামে আটকানো অবস্থায় কাঁধের ব্যাগ ছিনতাই করে ! কিংবা মোটর সাইকেল উল্টিয়ে গেলে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় ! এই ভয়েই কিন্তু কেউ-ই পথ চলা রত অবস্থায় ভিডিও ক্যামেরা কাজে লাগানো না, নয়লে কি চমৎকার ভিডিও হতে পারত সেই রোমাঞ্চকর পথের!
এক পর্যায়ে ম্যারিলিনের বাড়ীর সামনে থামা হল, সেই মোড়ের কাছেই দুটি বিশেষ পুলিশের গাড়ী। জানা গেল, বিগত এক দশকেরও বেশী সময় ধরে লুলা সিলভার সরকারের সময় থেকে বিশেষ পুলিশ বাহিনীর হাজার হাজার অভিযান চালিয়ে ধীরে ধীরে কোনঠাসা করে ফেলে মাদকচোরাচালানীদের। এখনো সংঘর্ষ ঘটে, কিন্তু আগের সাথে তুলনা করলে অতি অল্পমাত্রায়। সেই সাথে ফাভেলাগুলোর ভিতরে শিক্ষা বিস্তার, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানীয় জলের সরবরাহ, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঘটেছে অনেক উন্নতি।
সেই সাথে যেহেতু এর পরের ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ব্রাজিলেই মাত্র বছর দুই পরে, এবং ২০১৬ সালের অলিম্পিক হবে রিওতে, সরকার অতিমাত্রায় সতর্ক যেন সারা বিশ্ব থেকে আসা কোটি কোটি দর্শক যেন পূর্ণ নিরাপত্তা পায়, ফাভেলাগুলো যেন তখন অপরাধস্বর্গ হিসেবে কাজ না করে। তাই, অনেক আগে থেকেই তারা পরিকল্পনা মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি করেছে।
প্রথমেই খানিকটা ধাতস্থ হবার জন্য ম্যারিলিনের বাড়ীতে ঢোকা হল, চমৎকার জায়গা, দুইতালার একপাশের জানালা দিয়ে অতলান্তিক মহাসাগর আর শিল্পীর পটে আঁকা ছবির মত কয়েকটা দ্বীপ দেখা যায়। অন্য পাশে দেখা যায় ফাভেলার কিছু বাড়ীঘর আর খানিক দূরের রিও মহানগরী।
মহিলার ইচ্ছে, আসছে বিশ্বকাপের আগেই এখানে একটা সস্তা হোটেল খুলবার, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল থাকলে ফাভেলার হোটেল রাত্রিযাপন করা হবে যে কোন পর্যটকের জন্য বাড়তি পাওনা। তার ছেলে ফ্যাবিয়ানো খুব খুশী স্কুলে শেখানো ইংরেজি অবশেষে আমাদের সাথে ব্যবহার করতে পারার জন্য।
নির্মাণাধীন তিনতলার ব্যালকনিতে দাড়িয়ে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণের চেষ্টা চালালাম সেই অজানা ভুবনের বাসিন্দাদের। শুনেছি, কয়েক বছর আগেও যখন গোলাগুলি আর খুন ছিল এখানকার প্রতিদিনকার ঘটনা, তখনও কিন্তু স্থানীয়দের কোন সমস্যা হত না, সেই লড়াই সীমাবদ্ধ থাকত কেবল মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝেই। কাজেই মাফিয়াদের চাপে পড়ে নিজের এলাকাকে বিসর্জন দিতে হয় নি কোন নির্বিবাদী পরিবারকে।
পৃথিবীর আর দশটি শহরের মতই কিশোররা হুল্লোড় করে ফুটবল খেলে বাড়ী ফিরছে, কিশোরীরা ব্যস্ত তাদের সান্ধ্য আড্ডায়, মধ্যবয়স্করা জমিয়ে বসেছে পানশালাগুলোতে। সারি সারি বাড়ী, কোথাও এক রত্তি ফাঁকা জায়গা নেই। এমন বস্তি শহর থেকেই কিন্তু একসময় বের হয়েছে পেলে, জিকো, রিভালদোসহ বিশ্ব ফুটবলের সেরা অনেক নক্ষত্র।
ঘণ্টা দুয়েক পর সদলবলে বাহির হওয়া গেল স্থানীয় এক রেস্তোরাঁয় খাবার জন্য। আশেপাশের লোকজন উৎসুক্যের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে আমাদের দিক, কেউ কেউ আবার আগ বাড়িয়ে ম্যারিলিনকে জিজ্ঞাসাও করল এই ব্যাপারে। এই পুল খেলার জায়গায় দেখি ভিডিও চলছে মাইকেল জ্যাকসনের ব্যাড গানটির, বোঝা যায় নিজের গানে রিওর ফাভেলাকে উপস্থাপনের জন্য মাইকেল খুব জনপ্রিয় এখনো, তাকে নিজেদের লোক বলেই মনে করে স্থানীয়রা।
রেস্তোরাঁয় ঢুঁকে এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা হল, চমৎকার স্বাদের খাবার, বিশেষ করে মুচমুচে করে ভাজা মাংসটা যেন এখনো মুখে লেগে আছে, কিন্তু দাম দিতে হল খাবারের ওজন হিসেবে! মানে যা ইচ্ছা নিতে পারেন, ভাত , শিম, মাংস, ডিম, সব্জি- কিন্তু দাম দিতে হবে ওজন মোতাবেক।
ম্যারিলিনের অভয় পেয়ে ফেরার পথে ক্যামেরা প্রকাশ্যে বাহির করে গোটা কয়েক ছবি তোলবার চেষ্টা করলাম সেই স্বল্প আলোতে।
তবে এলাকাটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, বাংলাদেশের অনেক বস্তি শুনলেই অথবা সিটি অফ জয় বইটি কিংবা স্ল্যাম ডগ মিলিওনিয়ার চলচ্চিত্রের সুবাদে ভারতের পুতিগন্ধময় বসবাসের অযোগ্য যে স্থানের কথা আমাদের মনে ধাক্কা মারে, তার চেয়ে অনেক আলাদা বর্তমানের ফাভেলা। কিছুদিন আগেই বারাক ওবামাও এসেছিল রিওর এক ফাভেলাতে।
যদিও সেখানে অবস্থানের পুরোটা সময়ই বেশ উৎকণ্ঠায় ছিলাম আমরা তিনজনই, কিন্তু ফাভেলা দর্শনের আশা পূর্ণ হওয়ায় সেই আনন্দ নিয়েই ম্যারিলিনকে কোটি কোটি ধন্যবাদ দিয়ে ফিরে চললাম রিওর দিকে।
গোধূলির আলো মিলিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যার বুকে, এমন সময় ঘাড় ঘোরাতেই চোখে পড়ল আটলান্টিকের পাড়ে অন্য রূপে মূর্ত রাতের ভিজিগাল ।
( শেষের ছবিটি উইকি থেকে নেওয়া)
.
.
.
লেখাটির ব্যাপারে আপনার মন্তব্য এখানে জানাতে পারেন