আমি মাসুদ রানার ছোট ভাইকে দেখেছি। সত্যি বলছি, আমি দেখেছি তাকে। মাসুদ রানার একটা গল্পে পড়েছিলাম একটা বুলেট মাসুদ রানার হৃদপিণ্ডে গিয়ে বেধেঁ। কিন্তু সে মারা যায় না, কারণ বুলেটটি তার হৃদপিণ্ডের ইন্টারভেন্ট্রিকুলার সেপটামে বিধেঁ ছিল, কোন মেজর ব্লিডিং ছাড়াই রানা সেবার বেঁচে যায়। গত ২৪.১০.১৭ তারিখে যে বালকটির সাথে আমার পরিচয় হয় তাকে মাসুদ রানার ছোট ভাই বললে ভুল বলা হবে না।
ডিউটি করছি ঢাকা মেডিকেল ক্যাজুয়ালটিতে। টানা ২৪ ঘন্টা ডিউটির মাত্র সাড়ে ৫ ঘন্টা গেছে।
মূল লেখার লিংক
সময়টা তখন ১৯৪৭ এর দিকে। মৃত সাগরের উত্তর-পশ্চিম তীর ঘেঁষে অবস্থিত কুমরান গুহা। এই গুহাতেই পাথর নিক্ষেপ করার খেলায় মত্ত দুই বেদুইন বালক। মেষ চড়ানোর বায়না ধরে প্রায়ই এদিকটায় চলে আসে দুই ভাই মিলে। হঠাৎ বড় একটা পাথর ছোঁড়ার পর অদ্ভুত রকমের শব্দ হলো। প্রথমদিকে তারা মনের ভুল ভেবে উড়িয়ে দিলেও, প্রতিটি পাথর নিক্ষেপের পর একই রকম শব্দ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল মাটির তৈরি কিছু একটা ভেঙে গেছে। দুই বালক খেলা থেমে চুপ করে দাঁড়িয়ে পড়লো।
বাতাসে ভেসে আসা মৃত সাগরের লোনা গন্ধ আর পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়া বিকেলের সূর্য চারিদিক করে তুলেছিল রহস্যময়। তখনো সন্ধ্যা হতে অনেক দেরি। তাই এই অদ্ভুত শব্দের উৎস জানার জন্য দুজনে মিলে ঢুকে পড়লো গুহার ভেতর।
সেদিন সেই দুই বালকের সাহসী পদক্ষেপ উন্মোচন করে দিল এক গুপ্ত ইতিহাস। তারা গুহার ভেতর প্রবেশ করে উদ্ধার করলো বড় বড় মাটির পাত্র। পাত্র গুলো উল্টে দিতেই মাটিতে ছড়িয়ে পড়লো অগণিত চামড়ার তৈরি স্ক্রোল। এরকম প্রায় ৭টি বড় পাত্র ভর্তি স্ক্রোল উদ্ধার করলো দুজন মিলে। তখন বাইরের আকাশে সূর্য প্রায় অস্ত যাই-যাই করছে। দুই বালক ছুটে চলে গেল বেদুইন পল্লীর দিকে। চিৎকার করতে লাগলো হাত-পা ছুঁড়ে, “গুপ্তধন! গুপ্তধন!”
বেদুইন সর্দার সব শুনে রাতটা অপেক্ষা করলেন। পরদিন ভোর হতেই দলে দলে কুমরান গুহাতে হানা দিলেন। উদ্ধার করে নিয়ে আসলেন শত শত স্ক্রোল। আশেপাশের সব গুহাতে তল্লাশী চালানো যখন শেষ, তখন বেদুইনদের ঝুলিতে স্ক্রোলের সংখ্যা ৯০০ ছুঁই ছুঁই করছে। জেরুজালেমে তীর্থের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ জড়ো হতেন। এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে গেলে সবাই বেদুইন পল্লীতে ছুটে আসলেন। এভাবেই মানবসভ্যতার চোখের আড়াল হয়ে থাকা রহস্যময় ডেড সী স্ক্রোল নতুন করে ফিরে আসলো আমাদের মাঝে; সাথে নিয়ে এলো এক অজানা ইতিহাস!
সেই দুই বেদুইন, যারা বাল্যকালে খেলার সময় স্ক্রোলগুলো উদ্ধার করেন।
মূল লেখার লিংক
গণিত মানেই কঠিন কঠিন সব সমীকরণ আর প্রাণহীন শুষ্ক বিষয়! এমন ধারণা আমরা অনেকেই পোষণ করি। গণিতের সৌন্দর্য খোঁজা তো দূরে থাক, কখনো কি প্রকৃতিতে গণিতকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি? না, করিনি। আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যাদের মাঝে লুকিয়ে থাকা কত না গণিতের সৌন্দর্য। সেটা হতে পারে গাছের পাতায়, পানির ফোঁটায়, শামুকের খোলসে, মৌচাকে, মাকড়শার জালে কিংবা চোখের সামনে কোনো ফাটলে। গণিত লুকিয়ে আছে কিছু মানুষের মুখমণ্ডলের গঠনে। চলুন, আজ আপনাদের ঘুরিয়ে নিয়ে আসি গণিতের সৌন্দর্যের জগতে।
সূর্যমুখীর বীজের প্যাটার্ন
সূর্যমুখীর বীজ একটি বিশেষ প্যাটার্নে বিন্যস্ত থাকে। একে ফিবোনাক্কি ধারা বা ক্রম বলে। ধারাটি এরকম: ০, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪…। অর্থাৎ এই ধারার কোনো একটি পদ তার পূর্বের দুইটি পদের যোগফলের সমান। ধারাটি শুধুমাত্র সূর্যমুখীর বীজে পাওয়া যায় তা নয়। এমন অনেক উদ্ভিদের মাঝেই এই ধারায় বীজের বিন্যাস দেখা যায়। ছবিতে লক্ষ করুন, কী দেখতে পাচ্ছেন?
মূল লেখার লিংক
সুদূর মার্কিন মুলূকের তৃতীয় বৃহত্তম শহর শিকাগো। শহরটিতে মেঘ ফুঁড়ে দাঁড়ানো ভবনের সংখ্যা মন্দ নয়। কিন্তু একটি ভবনকে আলাদা করে চিনে নিতে কষ্ট হয় না কারো, স্কাইস্ক্র্যাপারগুলোর মধ্যে সবাইকে ছাড়িয়ে সে। ভবনটির আদি নাম সিয়ার্স টাওয়ার, মালিকানা বদলের কারণে বর্তমান নাম উইলিস টাওয়ার। ১১০ তলা বিশিষ্ট এ ভবনটি ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত শুধু শিকাগো শহরের নয়, পুরো পৃথিবীর উচ্চতম ভবন ছিলো। আর সেই সর্বোচ্চ ভবনটির রূপকার ছিলেন একজন বাংলাদেশী! তিনি শুধু কোনো বাংলাদেশীর ঔরসে জন্ম নিয়েছিলেন বলে নয়, উনার বেড়ে ওঠার পুরোটাই বাংলাদেশে। বলছিলাম ক্ষণজন্মা প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খানের কথা, যাকে ‘স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আইনস্টাইন’ বলা হয়!
মূল লেখার লিংক
“নুন খায় যার গুণ গায় তার”- সেই ছোটবেলা থেকেই এই প্রবাদটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। কথায় কথায় এই উক্তি কতবার যে আমরা ব্যবহার করেছি তার কোন ইয়ত্তা নেই। সাথে আছে এক রাজার সেই তিন মেয়ের গল্প। যে গল্পে রাজা ছোট মেয়েকে ‘নুনের’ মত ভালবাসে শুনে রাজ্য থেকে বিতাড়িত করে দেন। পরবর্তীতে এক বনের মধ্যে ক্ষুধার্ত রাজা নিজের মেয়ের হাতের বানানো খাবার খেয়ে পুনরায় পুত্রিকে বুকে জড়িয়ে নেয়ার গল্প আজ আর কারও অজানা নয়। আরব্য রজনী ‘আলি বাবা আর চল্লিশ চোরে’ও লবণ নিয়ে আছে এক গল্প। চল্লিশ ডাকাতের সর্দার যখন কারও বাড়িতে ডাকাতি করতে যেত, তখন সে নাকি ঐ বাড়ির বাড়তি নুন খেতে অস্বীকার করত। কারণ নুন খেলে নাকি সে আর নেমক হারামি (বিশ্বাসঘাতকতা) করতে পারবে না। এই দেখেই আলিবাবার পরিচারিকা মর্জিনা ধরে ফেলেছিল যে সে আসলে অতিথি বেশে ডাকাত।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে লবণের ব্যবহার। মাঝে মাঝেই খেয়ালের ভুলে মনে প্রশ্ন জাগে, কোথা হতে এলো এই লবণ? কবে থেকেই বা মানুষ শিখল এই লবণের ব্যবহার?
মূল লেখার লিংক
পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় বোধ হয় মানুষের মন। এই মন নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। মনোবিজ্ঞানীদের করা কিছু এক্সপেরিমেন্ট তথা পরীক্ষা পাল্টে দিয়েছে মানুষের মন নিয়ে চিরন্তন ধারণা। সেরকমই কিছু পরীক্ষার কথা আজ বলবো।
A Class Divided
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেটের স্কুল শিক্ষক জেন এলিয়ট তার শিক্ষার্থীদের উপর এই এক্সপেরিমেন্টটি চালান। মার্টিন লুথার কিংয়ের চিন্তাধারা তাকে সবসময় প্রভাবিত করত। ১৯৬৮ সালে যখন মার্টিন লুথার কিংকে খুন করা হয় তারপর থেকেই তিনি তার ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণবাদ, বৈষম্য এই ব্যাপারগুলো বোঝাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হচ্ছিলো না। তারা আগের মতোই মফস্বল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অবজ্ঞার চোখেই দেখে যাচ্ছিল।
মূল লেখার লিংক
ভুল থেকে নিতে হয় শিক্ষা। কিন্তু এমন কিছু ভুল থাকে, যার জন্য হাহুতাশ আর পস্তানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। প্রযুক্তি বিশ্বেও এমন কিছু মারাত্মক ভুলের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রতিষ্ঠানকে ডুবিয়েছে আর সম্ভাবনার অকালমৃত্যু ঘটিয়েছে। টেলিগ্রাফ অনলাইনে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। চলুন জেনে আসি প্রযুক্তি বিশ্বের ১১টি ভুল সম্পর্কে।
কোডাক। ছবি: রয়টার্স।
১. কোডাকের ভুল
১৯৭৫ সালে ক্যামেরা নির্মাতা কোডাকের এক প্রকৌশলী তাঁর নির্বাহীর কাছে ফিল্মবিহীন ক্যামেরার ধারণা উপস্থাপন করেন। তাঁকে হাসিঠাট্টার মুখোমুখি হতে হয়। তাঁকে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে ২০১২ সালে এসে দেউলিয়া হয়ে যায় কোডাক। একেই বুঝি বলে ভুলের খেসারত!
মূল লেখার লিংক
‘ইন্ট্রোভার্ট’ বা ‘অন্তর্মুখী’ শব্দটির একটি বিশেষ তাৎপর্য আছে। এই শব্দটি আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে থাকি। ইন্ট্রোভার্টের সাথে আরেকটি শব্দ আমরা সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করি, আর তা হলো ‘লাজুক’। মূলত ইন্ট্রোভার্ট হলেই যে লাজুক হতে হবে তার কোনো মানে নেই। ইন্ট্রোভার্ট ব্যক্তি নিজের মধ্যে নিজে চিন্তা করতে ভালবাসে। বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে ভাবতে ভালবাসে। গল্প আড্ডায় সময় না কাটিয়ে বই পড়া, লেখালেখি, আঁকাআঁকি বা এই ধরনের সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত থাকতে তুলনামূলকভাবে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে।
মূল লেখার লিংক
প্রায় ৩১ বছর আগে ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিলে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত সোভিয়েত ইউক্রেন এর চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পারমাণবিক চুল্লী বিস্ফোরিত হয়ে এক প্রলয়ংকারী দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিহাসে এটি পরিচিত চেরনোবিল বিপর্যয় হিসেবে। চেরনোবিলের এই ঘটনাটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী পারমাণবিক বিপর্যয় বলা হয়ে থাকে। সেই বিপর্যয়ের মধ্যেই এমন আরো একটি দুর্ঘটনা ঘটবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল যেটি মানবজাতির ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ প্রাণসংহারী ঘটনা হতে পারত। কিন্তু নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেটা রুখে দিয়েছিলেন তিন অসমসাহসী মানুষ। দ্য চেরনোবিল ডাইভারস নামে খ্যাত চেরনোবিলের সেই বীরদের স্মরণে আজকের লেখা।
মূল লেখার লিংক
১৮৯০ সালে বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হলেও অ্যানিমেশনের যাত্রা অবিশ্বাস্যভাবে এর অনেক আগে, ১৬০০ সালের গোড়ার দিকে। মূলত অ্যানিমেশনের ধারণা পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ আগে। পটের মধ্যে মানুষের হাঁটার প্রতি পদক্ষেপের ছবি পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় সেখানে থেকেই এই অসাধারণ বিষয়টার যাত্রা শুরু। এছাড়া লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকাতেও এর ছায়া দেখা যায়। ১৯০৬ সালের আগে ম্যাজিক লানটার্ন , থাউমাট্রোপ, ফিনাকেটাস্কোপ, জয়ট্রোপ, ফ্লিপ বুক , প্রেক্সিনোস্কোপের মাধ্যমে অ্যানিমেশন দেখানো হত।
মূল লেখার লিংক
১৮৯৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জগদীশচন্দ্র ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশানের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বিদ্যুত-তরঙ্গ সম্পর্কে বক্তৃতা দিলেন। “Complete apparatus for studying the properties of electric waves” শীর্ষক বৈজ্ঞানিক বক্তৃতাটি বিপুল সমাদৃত হয়। দর্শকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্যার জে জে থমসন, লর্ড কেলভিন, স্যার অলিভার লজ প্রমুখ পদার্থবিজ্ঞানী। প্রথম বক্তৃতাতেই জগদীশচন্দ্র পৃথিবীবিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের মনযোগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হলেন। বক্তৃতা শেষে লর্ড কেলভিন মঞ্চে উঠে জগদীশচন্দ্রকে অভিনন্দন জানান। শুধু তাই নয়, তিনি জগদীশচন্দ্র ও অবলা বসুকে তাঁর গ্লাসগোর বাসভবনে নিমন্ত্রণ করেন। প্রফেসর অলিভার লজও বসু দম্পতির সম্মানে পার্টি দিলেন।
ইংল্যান্ডের প্রথিতযশা পদার্থবিজ্ঞানীরা জগদীশচন্দ্রের যন্ত্রপাতির সূক্ষ্মতা দেখে অবাক হয়ে গেলেন। যন্ত্রপাতি তৈরিতে আশ্চর্য রকমের ইঞ্জিনিয়ারিং স্কিল ছিল জগদীশচন্দ্রের। তিনি বক্তৃতায় যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিলেন তা নিম্নরূপ:
১৮৮৭ সালের ২৭ জানুয়ারি জগদীশচন্দ্রের বিয়ে হয় তাঁর বাবার বন্ধু দুর্গামোহন দাসের দ্বিতীয় কন্যা অবলা দাসের সাথে। বিয়ের পর অবলা দাস স্বামীর পদবী ব্যবহার করে হয়ে যান অবলা বসু।
তৎকালীন অখন্ড বাংলার সমাজ-উন্নয়নে দুর্গামোহন দাসের অবদান ছিল ব্যাপক। বিক্রমপুরের সন্তান দুর্গামোহন বরিশালের ইংরেজি স্কুল থেকে পড়াশোনা করে বৃত্তি নিয়ে কলকাতার হিন্দু কলেজে পড়েন। সেখান থেকে আবার ঢাকা কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করেন। ভগবানচন্দ্রের সাথে বন্ধুত্ব তখন থেকেই।
এক আকুল মা ১৯০৬ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে দ্য হিন্দু পত্রিকায় ‘হারানো বালক’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছেন, আনুমানিক ১৮ বছরের এক তরুণ ভুল-বোঝাবুঝির কারণে বাসা থেকে চলে গেছে। কয়েক দিন আগেও সে কুম্বাকোনাম কলেজে পড়ত।
এভারিস্ত গালোয়া (১৮১১-৩২) এমন একটি নাম, যা বিপ্লব, অপরিণত তারুণ্য, ক্রোধ, রাজনৈতিক সক্রিয়তা, অস্থিরচিত্ততা, দুর্ভাগ্য আর অতুলনীয় প্রতিভার সঙ্গে মিশে আছে। মাত্র ২০ বছর বয়সের আয়ুষ্কালের মধ্যে গালোয়া গণিতের অন্তত তিনটি শাখায় যুগান্তকারী অবদান রেখেছিলেন।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন এক তরুণ, আর মাত্র তিন বছরের মাথায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিতের মতো মৌলিক বিজ্ঞানের তিনটি শাখায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। এ রকম কিছু শুনলে আমরা অবাক হব না? কিন্তু যাঁর কথা বলতে বসেছি, তাঁর ক্ষেত্রে এতটুকুতে অবাক হলে চলবে না। কারণ, এরপর তিনি একের পর এক বিস্ময় উপহার দিয়েছিলেন।